মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিলে বিপাকে পড়বে আরব দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র তাদের কৌশলগত মিত্র। অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল বেশিরভাগ আরব দেশ। তাই যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া আন্দোলনে রূপ না নেওয়া পর্যন্ত তারা তেমন কিছুই করবে না। ফলে আরব দেশগুলোর কাছ থেকে কার্যকর প্রতিক্রিয়া আশা করলে ফিলিস্তিনকে হতাশ হতে হবে। দেশগুলো শুধু মুখেই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাবে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য ইসরায়েল পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে। ট্রাম্পের ঘোষণায় জেরুজালেমের ইসরায়েলি রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির আশঙ্কায় ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালিকি আরব লীগ এবং ইসলামি সংস্থা ওআইসিকে জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন। এসময় তিনি বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও আহ্বান জানান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিন্তু বাস্তবতা হলো গুরুত্বপূর্ণ আরব দেশ সউদী আরব, মিসর, এমনকি জর্ডানও যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। তাই তারা জেরুজালেম ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পাশেই থাকবে। নিজেদের জাতীয় স্বার্থেই তারা ট্রাম্প-আরব মিত্রতা বজায় রাখবে। তাই এসব দেশে কঠিন আন্দোলন না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সরকার মুখেই প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাবে।
হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ গ্রাবিয়েল বেন-দোর বলেন, ‘ট্রাম্প দূতাবাস না সরানো পর্যন্ত তারা (আরব দেশগুলো) বাধা দেওয়ার কথা বলবে উচ্চকণ্ঠে। তবে কয়েকদিন পরই তারা এটা মেনে নেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটাকে ট্রাম্পের সঙ্গে এক ধরনের সমঝোতা হিসেবেই ধরে নেবে তারা। মৌখিক প্রতিবাদের বেশি কিছু করবে না তারা।’
তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়ান সেন্টারের সউদী গবেষক ব্রান্ডন ফ্রেইডম্যানের মতে, সউদী আরবের মাধ্যমেই ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে রাজি করানোর চেষ্টা করবে ওয়াশিংটন। তিনি বলেন, ‘সউদী যুবরাজ ও ট্রাম্পের জামাতা কুশনারের বৈঠকের খবরটি সত্য হলে ধরে নিতে এ ইস্যুতেই তাদের মধ্যে কথা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এ নিয়ে কথা বলতে গেলে ক্ষোভের মুখে পড়বে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।