পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জেল-জুলুমকে ভয় পেয়ে যিনি দেশে আসতে সাহস পান না, তিনি কখনোই বড় নেতা হতে পারেন না। সত্য কথা বলার জন্য সাহস লাগে। যিনি স্বাধীনতার মহানায়ক ও মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে কটাক্ষ করেন, তিনি কীভাবে সত্য কথা বলবেন? ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অপপ্রচারে অভ্যস্ত। তারা প্রেস বিফ্রিং করে ভাঙা রেকর্ড বাজায়। আর পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে করে মিথ্যাচার। গতকাল রোববার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী-২ শিবিরে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বেলা ১১টার দিকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নেমে মন্ত্রী উখিয়ার ত্রাণশিবিরে ছুটে যান। এ সময় কয়েক শ রোহিঙ্গার মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, উন্নত জীবনযাপনের জন্য আগামী ছয় মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের জন্য ভাসানচরে অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু করেছে সশস্ত্র বাহিনী। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধের কাজ সম্পন্ন হলে তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। রোহিঙ্গারা এ দেশে যত দিন থাকবে, তত দিন তাদের খাদ্য ও মানবিক সেবা দেওয়া হবে। সেতুমন্ত্রী বলেন, একটি সীমাবদ্ধ স্থানে বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রাখা সরকার স্বাস্থ্যগতভাবে নিরাপদ মনে করছে না। তা ছাড়া উখিয়া-টেকনাফের মানুষ এখন শঙ্কিত। তারা এখন সংখ্যালঘু হয়ে গেছে। এখানকার পরিবেশের ওপর চাপ বাড়ছে, অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়ছে, বিশেষ করে পর্যটনের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। এই চাপ কমানো দরকার। তাই রোহিঙ্গাদের ভাসানচর ছাড়াও অন্যান্য স্থানে আশ্রয় দেওয়ার স্থান খুঁজে দেখা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপও প্রক্রিয়াধীন। এটি হয়ে গেলে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়াও শুরু হবে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফেরত পাঠানোর জন্য সরকার কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ, ইইউসহ প্রতিবেশী দেশগুলো বাংলাদেশ সরকারের পাশে রয়েছে। তারা সরকারের প্রশংসা করছে। এমনকি এ দেশের উল্লেখ্যযোগ্যসংখ্যক মুসলিম, যারা আওয়ামী লীগকে পছন্দ করত না, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সাহসী পদক্ষেপ ও উদারতা দেখে তারাও এখন সরকারের প্রশংসা করছে। কিন্তু বিএনপিই একমাত্র দল, যারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের সমালোচনা করছে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, সাংসদ শামসুল হক, সাইমুম সরওয়ার কমল ও আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।