Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিলিশিয়া দলগুলো ভেঙে দিতে ইরাকের প্রতি আহ্বান ম্যাক্রোঁর

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইরান সমর্থিত পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস (পিএমএফ) সহ সব মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে ভেঙে দিতে ইরাকের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার প্যারিসে ইরাকি কুর্দি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ আহŸান জানান ম্যাক্রোঁ। তবে, ইরাকি প্রধানমন্ত্রী এ আহŸানের ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও ম্যাক্রোঁ ইরাকের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ‘অগ্রহণযোগ্য হস্তক্ষেপ’ করছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট। শনিবার, কুর্দিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নাসিরভান বারজানি এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী কুবাদ তালাবানির সঙ্গে বৈঠক করেন ম্যাক্রোঁ। ইরাক থেকে কুর্দিস্তানের স্বাধীনতা প্রশ্নে ২৫ সেপ্টেম্বর গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এটিই কুর্দি নেতাদের প্রথম আন্তর্জাতিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। গণভোটের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে দুজনই ইরাক সফর করলেও তারা কুর্দিস্তানে যাননি। কেবল বাগদাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গেই দেখা করেছেন তারা।
রয়টার্স জানায়, ইরাকি কুর্দি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর প্যারিসে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন ম্যাক্রোঁ। সেসময় তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগে ইরাকে প্রতিষ্ঠিত হওয়া পপুলার মোবিলাইজেশন গোষ্ঠীটিকে ধীরে ধীরে নিরস্ত্র করতে হবে এবং সকল মিলিশিয়াকে ধীরে ধীরে ভেঙে দিতে হবে।’
রয়টার্স জানায়, ওই মন্তব্যের পর বাগদাদে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদির কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, টেলিফোনে ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আবাদির কথা হয়েছে এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ঐক্যবদ্ধ ইরাকের প্রতি তার দেশের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। তবে ম্যাক্রোঁ মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছেন কিনা তা ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। সাবেক ইরাকি প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট নুরি মালিকিও একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে ক্ষোভ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ফ্রান্সের এ অবস্থান পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। এটি ইরাকের সার্বভৌমত্ব ও প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর।’
উল্লেখ্য, কুর্দিস্তান রিজিওনাল গভর্নমেন্ট (কেআরজি) কর্তৃপক্ষের দাবি আরব শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী পিএমএফ ইরাকের বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর সম্মিলিত বসবাসের অঞ্চলগুলোতে নিপীড়ন চালিয়ে থাকে। তবে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদির সরকার তা স্বীকার করে না। যদিও সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। সূত্র : রয়টার্স।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ