Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ কার্যকারিতা হারিয়েছে -ইরানি এমপি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:৫৮ পিএম

মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব করে দিয়েছে। এমনটা মনে করেন ইরানের পার্লামেন্টের একজন সদস্য মাসুদ গোদারজি। তিনি মজলিশ ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ফরেন পলিসি কমিশনের একজন সদস্যও। তিনি বলেছেন, ঢাকার সঙ্গে সম্প্রতি একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন অবাধ করতে বিধিনিষেধ দিয়েছে মিয়ানমার।
ইরানের অনলাইন দ্য ফিনান্সিয়াল ট্রিবিউন এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান মানবিক সঙ্কট সমাধানে একটি উপায় খুঁজে পেতে জাতিসংঘকে দ্বিগুণ গতিতে তাদের প্রচেষ্টা চালাতে আহ্বান জানিয়েছেন মাসুদ গোদারজি।
গত ২৬ শে নভেম্বর রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে একটি চুক্তিতে সম্মত হয় মিয়ানমার ও বাংলাদেশ। কিন্তু প্রতিবেশী এই দুটি দেশ কিভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হবে তার বিস্তারিত জানায় নি। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে এক রকম লড়াই হয়ে গেছে। রাখাইনে শত শত গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেই সহিংসতা কবলিত রাখাইনে কিভাবে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে এ বিষয়গুলো ছিল আলোচনায়।
এ বিষয়ে আল জাজিরাকে রোহিঙ্গাদের অধিকার বিষয়ক একজন কর্মী বলেছেন, কিভাবে শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়া হবে সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো তথ্য নেই তাদের কাছে। তিনি বলেছেন, আমি নিশ্চিত নই যে, রোহিঙ্গাদেরকে তাদের প্রকৃত বাড়িতে ফিরতে দেয়া হবে কিনা। নাই সান লউইন নামের ওই অধিকারকর্মী বলেছেন, মিয়ানমারের পুনর্বাসন ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, তারা দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ শরণার্থীকে ফিরিয়ে নিতে পারবেন। এমনটা হলে সব শরণার্থীকে ফিরিয়ে নিতে সময় লাগবে দু’দশকের মতো। মাসুদ গোদারজি এ জন্য মিয়ানমারের সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, রোহিঙ্গাদের এমনভাবে ফিরিয়ে নেয়া হলে তা হবে নিয়ন্ত্রিত প্রত্যাবর্তন। তিনি মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে মিয়ানমার সরকার একটি রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
ওদিকে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা মোকাবিলা করা হচ্ছে অদক্ষতার সঙ্গে এমন অভিযোগ তুলে জাতিসংঘের সমালোচনা করেছেন আরেক এমপি আবুল ফজল হাসানবেইগি। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘের নিষ্ক্রিয়তার কাছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নৃশংসতা অব্যাহত রাখার শক্তি পেয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, দুর্ভাগ্যজনক হলো এক্ষেত্রে জাতিসংঘ তার কার্যকারিতা হারিয়েছে। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ শুধু রিপোর্ট বা বিবৃতি প্রকাশ করেই ক্ষান্ত হচ্ছে। এর কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। ফলে তাদের এমন ভূমিকায় প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।



 

Show all comments
  • Sifat ৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১:৫৪ পিএম says : 0
    Seta onek age e hareyese
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা ইস্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ