পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ঢাকার সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রালে শুক্রবার মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তিনটি পরিবারের ১৬ জন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে তাদের দুর্দশার কথা নিজের কানে শুনে রোহিঙ্গা শব্দ উচ্চারণ করলেন পোপ।
পোপ বলেন, “আজ ঈশ্বরের যে উপস্থিতি, তা বিরাজমান রোহিঙ্গা রূপেও।”
রোমান ক্যাথলিকদের শীর্ষ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস এশিয়া সফরে এসেছেন এমন এক সময়ে যখন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর ব্যাপক দমন পীড়নের মুখে সোয়া ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিভিন্ন সময়ে শরণার্থীদের অধিকারের প্রশ্নে এবং তাদের দুর্দশা লাঘবে সরব হওয়া পোপ ফ্রান্সিস মিয়ানমার সফরে রোহিঙ্গাদের বিষয়েও তার দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরবেন বলে অধিকার সংগঠনগুলোর প্রত্যাশা ছিল।
মিয়ানমারে দেওয়া ভাষণে পোপ স¤প্রীতির ডাক দিয়ে প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীকে সম্মান দেখানোর আহŸান জানালেও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ না করায় বিষয়টি সংবাদের শিরোনাম হয়। বৃহস্পতিবার মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পৌঁছে বঙ্গভবনে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও কূটনীতিকদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে শরণার্থী সঙ্কট নিয়ে কথা বলেন পোপ।
মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় তিনি বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এ সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকতে বিশ্ব স¤প্রদায়ের প্রতি আহŸান জানান। কিন্তু এ বক্তৃতাতেও তিনি রোহিঙ্গা শব্দটি এড়িয়ে যান।
বাংলাদেশ সফরে পোপ যে রোহিঙ্গাদেরও সাক্ষাৎ দেবেন, তা আগেই জানানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী কক্সবাজারের কুতুপালং ও বালুখালী ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের তিনটি পরিবারকে নিয়ে আসা হয়েছিল ঢাকায়। গতকাল বিকেলে কাকরাইলের অনুষ্ঠানে তাদের সঙ্গে দেখা হয় পোপের।
রয়টার্স লিখেছে, সর্বধর্মীয় স¤প্রীতি সভার শেষভাগে ওই তিন রোহিঙ্গা পরিবারের ১২ পুরুষ আর চার নারী সদস্য যখন দোভাষীর মাধ্যমে তাদের নিদারুণ অভিজ্ঞতার কথা জানাচ্ছিলেন, পোপের মুখে তখন খেলা করছিল বিষাদের ছায়া।
পোপ তাদের বলেন, “যারা তোমাদের ওপর পীড়ন চালিয়েছে, যারা তোমাদের আঘাত করেছে, তাদের পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চাইছি। তোমাদের মহৎ হৃদয়ের কাছে আমার আবেদন, আমাদের ক্ষমা কর।” সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।