পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আড়াই ঘণ্টার এই মুক্ত উপাসনায় বাংলাদেশের মানুষ এবং বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় প্রার্থনা করেন পোপ। বক্তৃতা দেন যিশুর অনুসারীদের উদ্দেশ্যে।
গত ৩০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে কোনো পোপের এটাই প্রথম সফরে। সর্বশেষ সফর করেছিলেন পোপ দ্বিতীয় জন পল, ১৯৮৬ সালে।
পোপের আগমন উপলক্ষে সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা নেওয়া হয়। অনুষ্ঠান সাড়ে ৯টায় শুরু হলেও খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীরা উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন ভোর ছয়টা থেকে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরাও প্রার্থনাসভায় যোগ দিতে আসেন।
গলায় কার্ড ঝুলিয়ে প্রার্থনাসভায় যোগ দিতে আসা নানা বয়সী মানুষের চোখে মুখে ভক্তির সঙ্গে মিশে ছিল উচ্ছ্বাস। তাদের কাছে পোপ হলেন ঈশ্বরপুত্র যিশুর প্রতিনিধি।
সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে পোপ অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর পরপরই শুরু হয় উপাসনা অনুষ্ঠান। ঈশ্বর বন্দনায় ‘এসো তার মন্দিরে করি স্তবগান… একসাথে দলে দলে হয়ে এক প্রাণ..,’ প্রার্থনা সংগীতে শুরু হয় এ অনুষ্ঠান।
উপাসনা সংগীতের মধ্যেই সকাল ১০টায় মঞ্চে ওঠেন পোপ ফ্রান্সিস। বিভিন্ন খ্রিষ্টীয় আচারে চলতে থাকে অনুষ্ঠান।
ষোল জন ‘ঈশ্বরসেবককে’ যাজক হিসেবে অভিষিক্ত করার আগে উপাসনায় আগতদের উদ্দেশ্য সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন পোপ। তার স্প্যানিশ ভাষার বক্তব্য বাংলায় তর্জমা করে শোনানো হয়।
পোপ বলেন, “প্রিয়জনেরা, আজকের এই শুভ দিনে, যাজকীয় অভিষেক অনুষ্ঠানে আপনারা সবাই এসেছেন, আপনাদের শুভেচ্ছা জানাই। আমি জানি, আপনারা অনেকে অনেক দূর থেকে এসেছেন, অনেকে দুই দিনের যাত্রাপথ অতিক্রম করে এখানে এসেছেন, আপনাদের এ উদারতার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
“এটা প্রকাশ করে মঙ্গলের জন্য আপনাদের সকলের অন্তরে অনেক ভালবাসা রয়েছে। এটা প্রকাশ করে যিশু খ্রিস্টের জন্য আপনাদের অনেক অনেক ভালবাসা রয়েছে।”
খ্রিস্টীয় চার্চের এই প্রধান পুরোহিত বাংলাদেশে যিশুর অনুসারীদের উদ্দেশে বলেন, “এভাবে সামনের পথে এগিয়ে যান, পর্বতের উপর যিশুর অষ্টকল্যান বাণীর আলোকে, সেই প্রেরণা নিয়ে। আজকে সকলের কাছে আমার বিশেষ আহ্বান, এই নব অভিষিক্ত যাজকদের জন্য প্রার্থনা করতে।”
অভিষেকের আচার চলার ফাঁকে ফাঁকেই চলতে থাকে ধর্মসংগীত ও প্রার্থনা। অনুষ্ঠান শেষ হয় মা মারিয়ার বন্দনা গীতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।