হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
॥ মোবায়েদুর রহমান ॥
আজকের লেখা শুরু করার আগে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং দৈনিক পত্রিকাগুলোর অনলাইন সংস্করণের ওপর চোখ বোলাচ্ছিলাম। এ সময় এমন একটা নিউজে এসে চোখ আটকে গেল যে, যে বিষয়ের ওপর লিখতে চেয়েছিলাম সেই বিষয়টি বদলে গেল। খবরের শিরোনাম দেখলাম, ‘দুই মন্ত্রী গোটা বিচার বিভাগকে পদদলিত করেছেন : প্রধান বিচারপতি’। স্বাভাবিকভাবেই গোটা নিউজটি পড়লাম। একবার, দুবার, তিনবার। তারপর আরো দু-তিনটে পত্রিকায় নিউজটি পড়লাম। সিওর হতে চাইলাম যে, সংবাদটি সঠিকভাবে পরিবেশিত হয়েছে কিনা? কারণ এটি শুধু বিচার বিভাগকে নিয়েই নয়, স্বয়ং প্রধান বিচারপতি তথা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগকে নিয়ে লেখা। সুতরাং আমাকে পুনর্বার নিশ্চিত হতে হলো যে, প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগ যা বলেছেন, সেটি সঠিকভাবে পরিবেশিত হয়েছে কিনা।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, আদালত অবমাননার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ দুই মন্ত্রীকে কঠোর ভাষায় তিরস্কার করেছেন। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের উপস্থিতিতে শুনানির একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তাদের উদ্দেশ করে বলেন, মন্ত্রীরা শুধু প্রধান বিচারপতিকে ছোট করেননি, গোটা বিচার বিভাগকে পদদলিত করেছেন। প্রধান বিচারপতিকে এক হাজার কোটি টাকা দিয়ে কিনলেও অন্য ৪ বিচারপতিকে কেনা সম্ভব নয়। প্রধান বিচারপতি একা কোনো রায় দেন না।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, মন্ত্রীরা বিচার বিভাগকে স্ক্যান্ডালাইজ (কলঙ্কিত) করেছেন। প্রধান বিচারপতি যদি আদালত অবমাননার মামলা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তাহলে লাখ লাখ মামলার কী হবে? অতঃপর প্রধান বিচারপতি খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার ব্যাখ্যা সঠিক হয়নি। এটা আমরা রিজেক্ট করলাম। পড়ালেখা করে আসেন। আপনার জবাব (প্যারা ৫) সাংঘাতিক ঔদ্ধত্যপূর্ণ। প্রধান বিচারপতি এরপর বলেন, বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ ফৌজদারি আদালত অবমাননার শামিল। ডাকাতি মামলার আসামির অপরাধ যেমন ফৌজদারি অপরাধ, এই মামলার অপরাধও একই অপরাধ। দুই মন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করেছেন, এমন মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, আপনি স্বীকার করেছেন অপরাধ করেছেন। আপনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। এখন কী হবে? টকশোতে যাবেন, বাড়াবাড়ি করবেন। এটা আর দেখতে চাই না। সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদ পড়েন। আপনি সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়েছেন। আপনি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। এর পরিণতি কী হবে?
দেশকে চলতে হলে সংবিধান রক্ষা করতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে। আসামির আইনজীবীরা ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। একজন প্রসিকিউটর রায় নিয়ে আইন কমিশনের চেয়ারম্যানকে দেখিয়েছেন। জানতে চেয়েছেন ঠিক আছে কি-না? তিনি বলেছেন, রায় ঠিক আছে। আপনারা সুপ্রিম কোর্টকে কোথায় নিয়ে গেছেন? কোন লেবেলে নিয়ে গেছেন?
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, আমরা তো সংবিধানের বাইরে রায় দিতে পারি না। আমরা সংবিধানের চুল পরিমাণ ব্যত্যয় করতে পারি না। আপনি শপথ নিয়েছেন। আপনার স্বীকার করা আর জনকণ্ঠের সাংবাদিকদের অপরাধ এক কি-না? দোষ স্বীকার করার পর কী হতে পারে। একজন অপরাধীকে যখন ডেকে আনা হয়, বলা হয়Ñ তুমি দোষী না নির্দোষ? যখন সে বলে দোষ স্বীকার করছি ক্ষমা করেন, তখন কোর্ট কী করবে?
প্রধান বিচারপতি আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার মক্কেলকে সুরক্ষা দিতে না পারলে আদালতে আসবেন না। আপনারা যতই ক্ষমতাধর হন না কেন, আইন তার সোজা পথে চলে। আঁকাবাঁকা পথে চলে না। আমরা অনেক সহ্য করেছি। সংবিধান রক্ষায় যে কোনো আদেশ দিতে কুণ্ঠাবোধ করব না। আপনি যেই হোন।
॥দুই॥
প্রধান বিচারপতি এবং তার সাথে আপিল বিভাগের অন্যান্য মাননীয় বিচারপতিগণও যা বলেছেন ওপরে সেটা তুলে দিয়েছি। তাদের বক্তব্যে কোনো অস্পষ্টতা নেই। দুই মন্ত্রী উচ্চ আদালতকে পদদলিত করেছেন, এমন কঠোর কথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি। আরো অনেক কড়া কথা বলেছেন যেগুলো ওপরে উদ্ধৃত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ঠিকই আছে। কিন্তু কথা হলো, তারপর? প্রধান বিচারপতি নিজেই একাধিকবার এই প্রশ্ন তুলেছেন। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, মন্ত্রীরা শপথ ভঙ্গ করেছেন। এখন কী হবে? উত্তর খুব সোজা। শপথ ভঙ্গ করলে কেউ কি আর মন্ত্রী থাকে? নাকি থাকতে পারে? প্রধান বিচারপতি বলেছেন, মন্ত্রীরা সংবিধানের ১৪৮ ধারা ভঙ্গ করেছেন। ১৪৮ অনুচ্ছেদ শপথ গ্রহণ সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ। এই ধারা ভঙ্গ করার অর্থ হলো সংবিধান অমান্য করা। সংবিধান অমান্য করার শাস্তি হবে গুরুতর। আদালত অবমাননা এক জিনিস। আর সংবিধান অমান্য করা আরেক জিনিস। আদালত অবমাননা করলে অর্থ জরিমানা হয় অথবা আদালতে কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কিন্তু সংবিধান অমান্য করলে তার শুধু মন্ত্রিত্বই যাবে না, জেল-জরিমানাও হবে।
প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগের রায় সঠিক কিনা সেটা যাচাই করার জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলেন আসামি পক্ষ। উচ্চ আদালতের রায় সঠিক না বেঠিক সেটি ঠিক করবেন কে? আইন কমিশনের চেয়ারম্যান? হতে পারেন তিনি আপিল বিভাগের প্রাক্তন বিচারপতি, হতে পারেন তিনি প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। কিন্তু একবার অবসর গ্রহণ করলে এ সম্পর্কে তার বলার কিছুই থাকে না। আপিল বিভাগই এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ এবং চূড়ান্ত অথরিটি। আইন কমিশনের কোনো সদস্যের বলার কিছু থাকলে তিনি আইন ব্যবসা করার সনদ নিয়ে এসে উচ্চ আদালতে কথা বলতে পারেন। সেগুলো না করে তারা প্রধান বিচারপতির রায়ের ওপরে মন্তব্য নিতে গেছেন। কত বড় স্পর্ধা? এ ব্যাপারে তাদের শাস্তি কী হবে?
প্রধান বিচারপতি তার মন্তব্যে আরো বলেন, দোষ স্বীকার করার পর কী হতে পারে? একজন অপরাধীকে যখন ডেকে আনা হয়, বলা হয়Ñ তুমি দোষী না নির্দোষ? যখন সে বলে, দোষ স্বীকার করছি ক্ষমা করেন, তখন কোর্ট কী করবে? এটিই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন? এসব মন্তব্য প্রধান বিচারপতির নিজের। এখন তিনি কি করবেন? সেটি দেখার জন্য দেশের শিক্ষিত সচেতন মানুষ এবং সুধী সমাজ ব্যাকুল আগ্রহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দিকে তাকিয়ে আছেন। কারণ প্রধান বিচারপতি দুই মন্ত্রী এবং তাদের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা যতই ক্ষমতাধর হন না কেন, আইন তার সোজা পথে চলে। আঁকাবাঁকা পথে চলে না। আমরা অনেক সহ্য করেছি। সংবিধান রক্ষায় যে কোনো আদেশ দিতে কুণ্ঠাবোধ করব না। আপনি যেই হোন।’ প্রধান বিচারপতির এই স্পষ্ট এবং নির্ভীক বক্তব্যের জন্য তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এখন কথা মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে তিনি কী ব্যবস্থা নেন, সেটিই দেখার বিষয়।
॥তিন॥
সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আজ পুরো লেখাটাই বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিল অধিবেশনের ওপর লিখব। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। কারণ দলের নতুন স্থায়ী কমিটি, নির্বাহী কমিটি এবং উপদেষ্টা পরিষদ এখনো গঠিত হয়নি। সাড়ে ৩ হাজার কাউন্সিলর এসব দায়িত্ব দিয়েছেন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর। লেখাটি লিখতে হচ্ছে রবিবার। এক দিনের কাউন্সিল অধিবেশন বা দলীয় সম্মেলন শেষ হয়েছে গত শনিবার। মানুষের, বিশেষ করে দক্ষিণপন্থি রাজনীতির সমর্থকদের, নজর রয়েছে এসব কমিটি গঠনের ওপর। তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কে হচ্ছেন নতুন মহাসচিব? আজ ৬-৭ বছর হলো মির্জা ফখরুল ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। এবার কি তিনি ভারমুক্ত হয়ে পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব হচ্ছেন? নাকি অন্য কেউ? বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় একাধিক নাম এসেছে। আমি কাইট ফ্লাইংয়ে বিশ^াস করি না। তাই যাদের নাম নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে তাদের নিয়ে কোনো কথা বলব না। মহাসচিব কে হবেন সেটি একান্তভাবেই বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের ওপর নির্ভর করবে। এটিও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই হচ্ছে। কারণ কাউন্সিলর এবং ডেলিগেটরা বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানকে সেই ক্ষমতা দিয়েছেন। এখন এই দুই শীর্ষ নেতা যাকে দিয়ে কাজ করাতে কমফোর্টিবল ফিল করবেন তাকেই মহাসচিব বানাবেন। তবে বিএনপিতে দুজন নেতা আছেন যারা খুব বোল্ডলি বা সাহসিকতার সাথে কথা বলেন। আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করে রাজনীতি করতে হলে সেই ধরনের কথাই প্রয়োজন। মিন মিন করে বা সাহিত্যের ভাষায় কাব্যময়তার সাথে কথা বলে আওয়ামী রাজনীতির মোকাবেলা করা যায় না। গত সাত বছর হলো, বিএনপি সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে।
যে দুই ব্যক্তির কথা বলেছি তারা হলেনÑ গয়েশ^র চন্দ্র রায় এবং শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। দুজনই চাঁচাছোলা কথা বলেন। গয়েশ^র বাবু দলটির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য। যদি তাকে মহাসচিব বানানো না হয় তাহলে তিনি সেখানেই থেকে যাবেন। আর যদি মহাসচিব হন তাহলে পদাধিকার বলে স্থায়ী কমিটির সদস্য থাকবেন। আরেক জন হলেন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। পাকিস্তান আমলে যখন তিনি ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন থেকেই তিনি গরম গরম কথা বলতেন। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় পাত্র ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে ইলেকশন হয় সেখানে শেখ মুজিব তাকে এমপি বানান এবং মন্ত্রীর পদমর্যাদায় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ বানান। এখন তার বয়স হয়েছে। আমার ধারণা ৭৮ এর কম হবে না। তিনি দীর্ঘদিন থেকে বিএনপি করেন না। সেই কারণে এবং বয়সের কারণে তাকে হয়তো মহাসচিব করা হবে না। তবে আমার ব্যক্তিগত মতে তাকে স্থায়ী কমিটির সদস্য পদে নির্বাচিত করলে বিএনপির পুনর্গঠন এবং আগামী দিনের আন্দোলনে তিনি হয়তো আরো বেশি করে অবদান রাখতে পারেন। আরেকজন হলেন, ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। টেলিভিশনের টকশো, বিভিন্ন সভা-সমিতি, সেমিনার, মানববন্ধন ও গোলটেবিল বৈঠকে সোজাসাপ্টা বক্তব্য রেখে গণতন্ত্রকামী এবং আধিপত্যবাদবিরোধী জনগোষ্ঠীর কাছে ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে প্রিয় করে তুলেছেন। আমি সঠিক জানি না যে, তিনি বিএনপির সদস্য হয়েছেন কিনা। না হলেও তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী লাইনের বলিষ্ঠ প্রবক্তা হয়েছেন। তাকেও বিএনপির ফ্রন্ট লাইনে আনা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। রুহুল কবির রিজভী ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছেন যে, বিএনপির দুঃসময়ের সবচেয়ে বড় সাথী তিনি। এ ধরনের অসংখ্য নেতা এবং কর্মী রয়েছেন বিএনপিতে। তাদেরকে এবার লাইমলাইটে নিয়ে আসা উচিত। আমরা বিএনপিতে কোনো নেতা বা গোষ্ঠীকে প্রমোট করছি না। আমরা চাই, বিএনপি একটি মাঠের সংগঠন হোক, এর তৃণমূল ভিত্তি থাকুক এবং একটি ত্যাগী ও সংগ্রামী সংগঠন হিসেবে আবার আবির্ভূত হোক। যারা অফিসের আশেপাশে বিচরণ করেন অথবা যারা বিএনপিকে সংবাদ সম্মেলনের মধ্যে বন্দী করে রেখেছেন তাদের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপি একটি গণসংগঠনে পরিণত হোক।
বেগম জিয়ার ভাষণ বিশেষ করে ভিশন-২০৩০ (টুয়েন্টি-থার্টি) নিয়ে আমার কিছু রিজার্ভেশন আছে। আজ লেখাটি বড় হয়ে যাচ্ছে। তাই আজ এখানেই শেষ করছি। তবে সম্মেলন, বেগম জিয়ার ভাষণ এবং যেসব কমিটি হবে সেগুলো নিয়ে প্রথম পৃষ্ঠায় একটি বিশেষ সংবাদ ভাষ্য লেখার ইচ্ছা রইল।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।