পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকায় এসেও রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করলেন না রোমান ক্যাথলিকদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি সঙ্কট সমাধানের আহ্বান জানালেও রোহিঙ্গা শব্দটি এড়িয়ে যান। এর আগে মিয়ানমারেও তিনি রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেননি।
মিয়ানমার সফরে দেশটির কার্ডিনাল চার্লস বো’র অনুরোধে সেখানে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ করেননি পোপ ফ্রান্সিস। স্থানীয় বৌদ্ধরাও রোহিঙ্গা শব্দ উচ্চারণ নিয়ে পোপকে হুমকি দিয়েছিল। মিয়ানমার সফর শেষে বাংলাদেশে এসেও শব্দটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকলেন তিনি।
বঙ্গভবনে দেওয়া বক্তব্যে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘গত কয়েক মাসে রাখাইন থেকে আসা বিশাল শরণার্থীদের সাময়িক আশ্রয় ও মৌলিক চাহিদা সরবরাহের মাধ্যমে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশ উদারতা ও সংহতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে।’
পোপ আরও বলেন, ‘মানুষের সীমাহীন ভোগান্তির পুরো পরিস্থিতি, শরণার্থী শিবিরগুলোতে থাকা আমাদের ভাই-বোন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু, তাদের জীবনের অনিশ্চিয়তার বিষয়টি বুঝতে আমরা ব্যর্থ হইনি।’
এ সময় রাখাইনের সঙ্কটের সমাধান ও শরণার্থীদের ত্রাণ সহযোগিতার পাশাপাশি রাজনৈতিক সহায়তা দিতেও আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান পোপ।
মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের জাতিগত স্বীকৃতি দেয় না। দেশটি তাদের ‘বাঙালি অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে। ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতা শুরু হলে প্রায় ছয় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পোপ রোহিঙ্গা উচ্চারণ না করলেও একই অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ স্বাগত বক্তব্যে রোহিঙ্গা হিসেবেই আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে অনেক রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে আর হাজার হাজার নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পরিকল্পিত নিষ্ঠুর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সূত্র : ক্রাক্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।