পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বঙ্গবন্ধু চত্বরে বুধবার দিনগত রাতে উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন মঞ্চে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। এছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার ৯টায় শহরের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসার পিছনে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা ছুড়ে। এতে কেহ হতাহত হয়নি। এ ঘটনায় জনসাধারণের জানমাল ও উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মর্জিনা আক্তার বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থানীয় বঙ্গবন্ধু চত্বর, শহীদ হারুন পার্কসহ আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগের দিন সন্ধ্যায় উল্লেখিত স্থানে মঞ্চ তৈরী করা হয়েছিল। বুধবার দিনগত রাতে ওই মঞ্চে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করে মঞ্চ পুড়িয়ে দেয়। এদিকে সম্মেলনের দিন সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে পৌর শহরের উত্তর বাজার মোড়, কালীপুর মোড়, বালুয়াপাড়া মোড়, খেলার মাঠ মোড় ও ইউএনও মর্জিনা আক্তারের বাসার দ্বিতীয় তলায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বুত্তরা। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মর্জিনা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, সকাল সোয়া ১০টার দিকে তার বাসায় পিছনের রাস্তা থেকে কে বা কাহারা এ পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এসময় তিনি অফিসে অবস্থান করছিলেন। পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ফলে বাসায় থাকা তাঁর দুই শিশু সন্তানসহ অন্যান্য সদস্যরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গৌরীপুর থানার পুলিশ ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ফায়ার সার্ভিস টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গৌরীপুর থানার এসআই জাহাঙ্গীর ইউএনও’র বাসাসহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পেট্রোল নিক্ষেপের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার আহাম্মেদ জানান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, দীর্ঘ চৌদ্দ বছর পরে উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনকে ঘিরে এক সপ্তাহ পূর্ব থেকে গৌরীপুরে সম্ভাব্য প্রার্থীদের গণসংযোগ ও প্রচারণার পাশাপাশি উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এনিয়ে যুবলীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। এদিকে গভীর রাতে মঞ্চ পুড়িয়ে দেয়া ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় উক্ত সম্মেলন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে শহরে চরম উত্তেজনার পাশাপাশি যুবলীগের দু’গ্রুপের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা বিরাজ করছে। সারা শহরে র্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।