নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
তবুও সবার আগে শেষ চারে খুলনা
টানা চার ম্যাচে জয়। সঙ্গে ছিল আগের ম্যাচেই আসরের সর্বোচ্চ দলীয় (২১৩ রান) সংগ্রহের আত্মবিশ্বাস। টসটাও ছিল নিজেদের পক্ষে। এতকিছুর পরও মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে খুলনা টাইটান্সকে দেখতে হলো মুদ্রার উল্টো পিঠ। এবার ১১১ রানেই গুটিয়ে তারা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে ম্যাচ হেরেছে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
মামুলি এই লক্ষ্য পূরণ করতে কুমিল্লার মোটেও বেগ পেতে হয়নি। লিটন দাসের (২০ বলে ২১) সঙ্গে ৬৪ রানের উদ্বোধনী জুটির পর ইমরুল কায়েসকে (২১ বলে ২২*) নিয়ে ১৩.৫ ওভারেই ম্যাচের ইতি টেনে মাঠ ছাড়েন তামিম ইকবাল। কুমিল্লা অধিনায়কের ৪২ বলে ৬৪ রানের দায়ীত্বশীল ইনিংসে ছক্কার মার নেই একটিও, বাউন্ডারি আছে ১২টি।
এর আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি মাহমুদউল্লাহরা। শুরুতেই পথ হারানো খুলনার ইনিংস শেষ হয় ১৯.২ ওভারে। শীর্ষ ৫ ভ্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন কেবল মাহমুদুল্লাহ (১৪)। এদিনও ব্যাট হাতে কিছু করতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো। মুখোমুখি হওয়া নিজের প্রথম বলেই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডোয়াইন ব্রাভোর হাতে। মেহেদী হাসানের ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই আবার শোয়েব মালিকের আঘাত। আগের দিন ঝোড়ো ৪৯ রানের ইনিংস খেলা নাজমুল হোসেন শান্ত ৬ বলে মাত্র ৮ রান করে ফেরেন বোল্ড হয়ে।
৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন আগের ম্যাচের হাফসেঞ্চুরিয়ান আফিফ হোসেনকে সঙ্গী করে। যদিও রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে হার না মানা ৫৪ রানের ইনিংস খেলা আফিফও এদিন ব্যর্থ। ফেরেন শোয়েব মালিকের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। খানিক পর নিকোলাস পুরানের (০) গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটিও তুলে নেন শোয়েব।
এলোমেলো খুলনার বিপদ আরও বাড়ে দলীয় ৪০ রানেই পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাহমুদউল্লাহর আউটে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে খুলনা। আরিফুল হক (২৪ বলে ২৪ রান) ইনিংসের সর্বোচ্চ রান খেলে খানিক আশা জাগালেও সেটা ছিল অল্প সময়ের জন্য। শেষদিকে কাইল অ্যাবট (১৬) ও শফিউল ইসলামের (১৬) চেষ্টায় ১০০ পেরোয় খুলনার স্কোর। বল হাতে কুমিল্লার কোন বোলারই বিমুখ হননি। দুর্দান্ত বোলিংয়ে শোয়েবের সঙ্গে সমান ৩ উইকেট নেন আল-আমিন হোসেন।
এই ম্যাচে মাঠে নামার আগেই অবশ্য বিপিএলের শেষ চার নিশ্চিত করে খুলনা। গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্স ৪ উইকেটে সিলেট সিক্সার্সকে হারিয়ে দেওয়ায় তিন ম্যাচ আগেই প্লে অফে পৌঁছে যায় মাহমুদউল্লাহর দল। বাকি থাকা তিন ম্যাচের সবক’টি হারলেও ফাইনালের পথ খোলা থাকবে খুলনার সামনে।
পয়েন্ট তালিকাতেও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে খূলনা। ১০ ম্যাচে ৬ জয় ও ৩ হারে তাদের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। ৮ ম্যাচ শেষে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে কুমিল্লা উঠে এসেছে দুইয়ে। সমান ৯টি করে ম্যাচ খেলে ৫ জয় ও ৩ হারে ১১ ও ১০ পয়ন্ট নিয়ে যথাক্রমে তিন ও চারে ঢাকা ডায়নামাইটস ও রংপুর রাইডার্স।
খুলনা টাইটান্স : ১৯.২ ওভারে ১১১ (আরিফুল ২৪, অ্যাবট ১৬, শফিউল ১৬; শোয়েব ৩/১৪, আল-আমিন ৩/২০)। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৩.৫ ওভারে ১১২ (তামিম ৬৪*, ইমরুল ২২*, লিটন ২১; অ্যাবট ১/২৭)। ফল : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা : শোয়েব মালিক (কুমিল্লা)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।