Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শুরু হচ্ছে ঢাকা-সিলেট ৪ লেন মহাসড়কের কাজ

২ বছর মেয়াদী প্রকল্পে সিলেট-তামাবিল সড়কও চার লেনে উন্নীত হবে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শুরু হচ্ছে ঢাকা-সিলেট চারলেন মহাসড়কের কাজ। চীনের অর্থায়নে জিটুজি ভিত্তিতে চার লেনের মহাসড়কের কাজ শুরু হবে আগামী বছরের শুরুতেই। একই সাথে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় সিলেট-তামাবিল সড়কও চার লেনে উন্নীত করা হবে। দুই বছর মেয়াদি বিনিয়োগ প্রকল্পটি সহজ করা ও দ্রæত বাস্তবায়নের জন্য সরকারি অর্থে আগেই জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জমির সঠিক মূল্য নির্ধারণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে এনজিও নিয়োগ করা হবে। জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। স¤প্রতি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে এ-সংক্রান্ত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) জমা দিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর।
সওজ সূত্র জানায়, ডিপিপিতে বলা হয়েছে, ঢাকার কাঁচপুর থেকে সিলেট হয়ে তামাবিল পর্যন্ত মহাসড়কটির দৈর্ঘ্য ২৮২ দশমিক ১২ কিলোমিটার। এর উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেনসহ চার লেনে উন্নীত করা হবে। এজন্য ভূমির প্রয়োজন হবে ৯৯০ দশমিক ২৭ একর বা ৪০০ দশমিক ৯২ হেক্টর। ডিপিপিতে ৯৯০ দশমিক ২৭ একর জমি অধিগ্রহণ ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৭৪৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আর ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া পরিষেবা সংযোগ লাইন স্থানান্তরে ব্যয় ধরা হয়েছে আরও ৪৫০ কোটি টাকা। এর বাইরে ফিজিক্যাল কন্টিনজেন্সি ৯১ কোটি ১৮ ও প্রাইস কন্টিনজেন্সি ৩৬৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ব্যয় হবে পাঁচ হাজার ১৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। দুই বছর মেয়াদি বিনিয়োগ প্রকল্পটি আগামী বছর শুরু হবে।
সওজের একজন প্রকৌশলী জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেন নির্মাণে বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণ সহজ করা ও দ্রæত বাস্তবায়নের জন্য সরকারি অর্থে আগেই জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জমির সঠিক মূল্য নির্ধারণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে এনজিও নিয়োগ করা হবে। জানা গেছে, জমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন পরিকল্পনায় এডিবির সহায়তায় পরিচালিত টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্স ফর সাব-রিজিওন্যাল ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট প্রিপারেটরি ফ্যাসিলিটির আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ছিল সুইডেনের হাইফ্যাব ইন্টারন্যাশনাল। ২০১৯ সালের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করা হবে। পাশাপাশি মূল চার লেন নির্মাণে দ্রত বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট এই ছয় জেলায় জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে জমির পরিমাণ যথাক্রমে ১৯ দশমিক শূন্য ৮, ১০৫ দশমিক ২০, আট দশমিক ৭০, ৫৮ দশমিক ৪৪, ২৯০ দশমিক ২০, ৯ দশমিক ৬০ ও ৪৯৯ দশমিক ৭০ একর। সওজের প্রস্তাবনায় ঢাকা-সিলেট-তামাবিল চার লেনের জমি অধিগ্রহণে প্রতি হেক্টর জমির দাম ধরা হয়েছে ৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আর চলমান এলেঙ্গা-রংপুর চার লেনে প্রতি হেক্টর জমির দাম ধরা হয়েছে ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এছাড়া শেষ হওয়ায় জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ চার লেনে জমি অধিগ্রহণে ব্যয় করা হয়েছিল হেক্টরপ্রতি ৯ কোটি ১২ লাখ টাকা। সূত্র জানায়, ভূমি অধিগ্রহণে জমির মূল্য তিনগুণ ক্ষতিপূরণ ধরা হয়েছে। আর পুনর্বাসনে ২০১৪ সালের প্রাক্কলনের দুইগুণ ব্যয় ধরা হয়েছে।



 

Show all comments
  • হাফিজ ২৬ নভেম্বর, ২০১৭, ১:৩৬ এএম says : 0
    আমার মতে ৬ লেন রাস্তা করা হউক। যত তারা তাড়ি কাজ শেয করা যায় তা সাধারণ জনগনের জন্য ভাল।
    Total Reply(0) Reply
  • জামিল ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৬:৪৫ পিএম says : 0
    যতসমভব তাড়াতাড়ি কাজ করা হউক
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মহাসড়ক

২৮ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ