বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
নতুন চমক নিয়ে, নতুন জামা পড়ে, নতুন পোশাক পরে শেখ হাসিনার অধীনে বাকশালের নবজন্ম হল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার বাবা বাকশাল করেছিলেন, তখন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেনাবাহিনী, বিডিআর, পুলিশের কর্মকর্তাদের যোগদান করতে হত। তার কন্যা শেখ হাসিনার আমলে আবার আজকে নতুন বাকশাল দেখছি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পলিটিক্যাল মিটিংয়ে যেতে হচ্ছে, না হয় তাদের চাকরি থাকবে না, বেতন কেটে নেওয়া হবে। কিন্তু মনে রাখবেন জোর করে মানুষের মন জয় করা যায় না। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ পিরোজপুর জাতীয়তাবাদী ফোরামের উদ্যোগে জেলা সভাপতি গাজী নুরুজ্জামান বাবুলের মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় গতকাল সারা দেশে আনন্দ শোভাযাত্রা করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। এই শোভাযাত্রার সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জনগণ আপনার (প্রধানমন্ত্রী) পাশে নেই। তাই সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জোড় করে নিয়ে আসছেন মাঠ ভরার জন্য। রিজভী বলেন, সোহরাওযার্দী উদ্যানে আনন্দ সমাবেশে সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকা সরকারের সিদ্ধান্ত, আইনের সিদ্ধান্ত নয়। চিঠি দিয়ে, ধমক দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সমাবেশে আনা হচ্ছে। একটি রাজনৈতিক বিষয়ে সমাবেশ বলি, সংবর্ধনা বলি, এখানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আপনি চিঠি দিয়ে, ধমক দিয়ে পাঠাচ্ছেন। এটা অন্যায়। এটা গণতান্ত্রিক দেশ নয়, এটা একদলীয় দুঃশাসনের দেশ। ১৯৭৫ সালের বাকশালের মতো এখন শেখ হাসিনার সরকার প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ‘রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছে’। এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার নির্দেশনাকে ‘সন্ত্রাসী নির্দেশ’ আখ্যায়িত করে রিজভী বলেন, “কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের এভাবে কোনো রাজনৈতিক সভায় যোগদান করতে হয় না। এখানে এখন এমন একটি অবস্থা যে এখানে কোর্ট আমার, প্রশাসন আমার, পুলিশ আমার। আওয়ামী লীগের বাইরে কোনো কথা নেই, কোনো রঙ নেই। আইন একটা, শেখ হাসিনার আইন, এখানে অন্য কোনো আইন চলবে না। নতুন পোষাক পরিয়ে বাকশালের নবজন্ম দেয়া হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি হিরু রহমান হিরন মোল্লার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, শাহজাহান মিলন, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, পিরোজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।