Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেসিকে ছাড়াই একাদশ!

জুভদের বসিয়ে শেষ ষোলয় বার্সা

| প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তুরিনের ম্যাচটা মোটেও অন্য ম্যাচগুলোর মত ছিল না। একই রাতে যখন পিএসজি, ম্যানইউ উপহার দিয়েছে বিষ্ময়; বায়ার্ন, চেলসি, অ্যাটলেটিকো জিতেছে তাদের স্বাভাবিক খেলা খেলে তখন জুভেন্টাসের মাঠে নিরুত্তাপ গোলশূন্য ড্র করেছে বার্সেলোনা। গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে পা রাখতে কাতালান দলটির অবশ্য এটুকুই যথেষ্ঠ ছিল
স্পোর্টস ডেস্ক : তুরিনে ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই চমক। বার্সেলোনার শুরুর একাদশে নেই লিওনেল মেসি। এক বছরের মধ্যে যে ঘটনা এই প্রথম। না, কোন চোট শঙ্কার কারণে নয়। মৌসুমে এখন পর্যন্ত টানা ১৬ ম্যাচ খেলে ফেলা ফুটবল জাদুকরকে একটু বিশ্রাম দেয়াই ছিল কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দের প্রধান উদ্দেশ্য। এ নিয়ে কথা বলেন বার্সা ডিরেক্টর গুইলার্মো আমোর, ‘এটা এমন হতে পারে যে, এ নিয়ে হয়ত আর্নেস্তো (ভালভার্দে) তার সাথে কথা বলেছে। সামনে আমাদের কঠিন কিছু ম্যাচ অপেক্ষা করছে।’
গুইলার্মোর কথা অবশ্য ঠিক। রবিবার লা লিগায় বার্সার প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়া। যে ভ্যালেন্সিয়া মাত্র ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা অব্যহত রেখে চলেছে। তাছাড়া দলের আক্রমণভাগের একমাত্র ভরসা তো এখন মেসিই। রাফিনহে, দেম্বেলে, তুরানদের মত তারকারা অনেক দিন ধরেই মাঠের বাইরে। সুতরাং দলের সেরা তারকার দিকে এখন তো একটু বাড়তি নজর দিতেই হবে। ম্যাচ শেষে সেটাই পরিষ্ককার করেন ভালভার্দে, ‘সে (মেসি) এরই মধ্যে অনেক ম্যাচ খেলেছে। শেষ পর্যন্ত তাকে একটু বিশ্রামের দরকার ছিল।’
আর্জেন্টাইন তারকার বেঞ্চে বসে থাকাতে অবাক হয়েছেন ‘মেসিভক্ত’ প্রতিপক্ষ কোচ মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি, ‘২০১০ সাল থেকে আমি তার মুখোমুখি হয়ে আসছি। এ নিয়ে ১৩ বার হলো। এই প্রথম দেখলাম মেসি বেঞ্চে বসে আছে।’ দ্বিতীয়ার্ধে মেসি মাঠে নামার পর থেকে ম্যাচ নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বলেও জানান অ্যালেগ্রি।
মেসি নেমেও অবশ্য ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে পারেননি। শুরু থেকেই দুদল গোল করার চেয়ে নিজেদের রক্ষণ সামলাতেই ছিল ব্যস্ত। বেশিভাগ সময় আধিপত্য ধরে রেখেছিল বার্সেলোনাই। ম্যাচের প্রথম দিকে ইভান রাকিটিচের একটি ফ্রি-কিক পোস্টে লেগে ফিরে আসা আর শেষ দিকে পাওলো দিবালার শট দুর্দান্তভাবে মার্ক টার স্টেগেনের ফিরিয়ে দেয়া ছাড়া তেমন কোন উত্তাপ দেখা যায়নি। ফলে অলিম্পিয়াকোসের মাঠের পর এবার জুভাদের বিপক্ষেও গোলশূন্য ড্র করল বার্সেলোনা। এতেই অবশ্য তাদের পরের রাউন্ড নিশ্চিত হয়েছে, সেটাও গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই।
সব মিলে শেষ ৬ ম্যাচ ইতালিতে জয়শূন্য কাতালান জায়ান্টরা। জুভেন্টাসও তাদের আটকে দিয়ে ২০১৩ সালের পর থেকে ঘরের মাঠে অপরাজেয় হয়েই রইল। এতে অবশ্য তাদের ক্ষতি হয়েছে বেশি। এখনো শেষ ষোল নিশ্চিত হয়নি গেল মৌসুমের রানার্স-আপদের। এজন্য শেষ ম্যাচে গ্রæপের তলানীর দল অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে জিতলেই চলবে। না জিতলেও হিসাবটা মিলে যাবে যদি বার্সা স্পোর্টিং লিসবনকে হারাতে পারে। ‘ডি’ গ্রæপে ১১ পয়েন্ট বার্সার, জুভেন্টাস ও স্পোর্টিংয়ের যথাক্রমে ৮ ও ৭ করে। প্রথম লেগে ন্যু ক্যাম্পে তুরিনের বুড়িদের ৩-০ গোলে হারিয়ে আসর শুরু করেছিল বার্সা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ