পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আলোর পথে রয়েছে। আর বিএনপি মানে হাওয়া ভবনের দুর্নীতি ও লুটপাট, বিএনপি মানে অগ্নিসন্ত্রাস। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশ আবারও অন্ধকারে পতিত হবে। বাংলার মানুষ আর বিএনপির অন্ধকারে যাবে না। গতকাল বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার শক্তিপুর নুরজাহান ভবন চত্বরে এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক ও সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মযহারুল ইসলামের ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্বরণসভার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের রক্তাক্ত ইতিহাস বাংলার মানুষ ভোলেনি। ২০১৩-১৪ সালের অগ্নিসন্ত্রাসের কথাও ভুলে যায়নি। ক্ষমতায় থাকতে তারা সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া, মঞ্জুরুল ইমাম, আহসানউল্লাহ মাস্টারসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। মা-বোনদের ধর্ষণ করেছে। আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীর রক্ত ঝরিয়েছে। রক্তের নদী আর কান্নার দরিয়ায় ভাসিয়েছে মানুষকে। এখন তারা আবার লোক দেখানো মায়াকান্না করছে।
শেখ হাসিনাকে মানবতার নেত্রী উল্লেখ করে কাদের বলেন, মহান আল্লাহপাক বঙ্গবন্ধুকে সৃষ্টি করেছেন বাংলার স্বাধীনতার জন্য আর শেখ হাসিনাকে সৃষ্টি করেছেন মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। শেখ হাসিনা এখন সারা বিশ্বের বিস্ময়। সোয়া ৬ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও খাদ্য দিয়ে তিনি উদারতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যা সারা বিশ্বে প্রশংসিত।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, ফটোসেশনের জন্য তিনি (খালেদা জিয়া) একবার বিশাল গাড়িবহর নিয়ে কক্সবাজার গিয়ে শোডাউন করেছেন। তার দলের মহাসচিবও একবার গিয়েছিলেন। অথচ আমি ২৫ দিন রোহিঙ্গাদের পাশে ছিলাম। কোনটা মন থেকে আর লোক দেখানো তা মানুষ বোঝে।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি নেত্রী লন্ডনে চলে গেলেন, আন্দোলন থাকলো তার ভ্যানিটি ব্যাগে। এই বছর না সেই বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর। পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা, গাড়ি পোড়ানো, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ও গাছ ধ্বংস করার আন্দোলনের সাথে বাংলার মানুষ আর নেই।
দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, দলের ভেতরে প্রতিযোগিতা থাকবে, সেটা যেন অসুস্থ না হয়। যারা উন্নয়ন করবেন আর সকলের সাথে ভাল আচরণ করবেন আগামী নির্বাচনে তাদেরকেই মনোনয় দেওয়া হবে। দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের কাছে টেনে নিন। দলে অনুপ্রবেশকারী আগাছাদের ঠাঁই দিবেন না। দল ক্ষমতায় না থাকলে ৫ হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
প্রফেসর মযহারুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য প্রফেসর আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, মেরিনা ইসলাম কবিতা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা.হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, হাসিবুর রহমান স্বপন এমপি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।