পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার থাবায় ক্ষতবিক্ষত সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জের ‘মুক্তিযুদ্ধা টিলা’। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় চলছে। শাহজালালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানী লি: এর কলাবাগান আবাসিক এলাকায় ভূমি উন্নয়নে মাঠি ভরাটে ব্যবহার করা হচ্ছে টিলা মাটি। অতি মুনাফার লোভে পরিবেশ বিরোধী কর্মকান্ড করলে কর্তৃপক্ষ চুপ। যে কারনে সাবাড় হয়ে গেছে বিপুল অংশের টিলা মাটি। প্রায় ২কোটি টাকা টাকা ব্যায়ে কলাবাগান আবাসিক এলাকায় নির্মান কাজ শুরু হয়। এলাকায় ভূমি উন্নয়ন সহ ইট সলিং কাজ যৌথভাবে নেন ফয়ছল এন্ড কোম্পানী ও সামিট এসোসিয়েট। নদীর বালুসহ, জমি মাটি দিয়ে ভূমি উন্নয়নের শর্ত থাকলেও, সহজলভ্য ও অতি মুনাফার লোভে টিলার মাটি দিয়ে ভূমি উন্নয়নে নেমে পড়েন তারা। কিন্তু তাদের এ পরিবেশ বিরোধী কমকান্ড নজরে আসার আগেই ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ে গোটা মুক্তিযুদ্ধা টিলা। প্রায় গত ১৫ দিনে ১২শ’ থেকে ১৩শ’ ট্রাক মাটি কেটে নেয়া হয়েছে আবাসিক প্রকল্পে। প্রতি ট্রাক মাটি দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করছে সংশ্লিষ্টরা। সরকারী কাজে, সরকারী নিষেধাজ্ঞা আরোপিত টিলার মাঠি কাটলেও চুপ থাকেন সংশ্লিষ্টরা।
উত্তরভাগ ইউনিয়নের ইন্দেশ্বর ভূমি অফিসের অধীনে এ ইউনিয়নের খাসমহল যাদুরগুল এলাকায় এ টিলা ভূমি। খাসমহলে ২ হাজার একরেরও বেশি জমি সরকারের ‘ক’ খতিয়ানভুক্ত। যাদুরগুল খাসমহল এলাকায় বসবাসকারী ভূমিহীনদের করা এক হাইকোর্ট ও জজ কোর্টে কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। এসব মামলায় এ এলাকায় সব ধরনের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও টিলার মাটিতে চলে যন্ত্রদানব। দানবের দাপুটে টিলা আকার-প্রকৃতি বদলে নি:শেষ প্রায়। এই অবস্থায় টিলার উপরে ঝুঁকির মধ্যে বসবাসকারী ১৩টি পরিবার। তাদের মাঝে ভূমি ধ্বসের আশংকা বিরাজ করছে। নাজুক এ পরিস্থিতির জন্য দায়ি করা হচ্ছে সিলেট জেলা স্বেচ্ছা-সেবকলীগের সহ-সভাপতি ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছা-সেবকলীগের সভাপতি ডি.এম ফয়ছলকে। ওই এলাকার বাসিন্দা ভূমিহীন সমবায় সমিতি লি:-এর সদস্য সচিব বিলাল হোসেন মিন্টু বলেন, ক্ষমতার জোরে টিলার মাটি সাবাড় করে ফেলেছে নির্মান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টান। মুনাফার লোভে এ কাজ করতে যেয়ে পরিবেশ-পরিস্থিতি হুমকিতে ফেলে দিয়েছে তারা। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার র্পও টিলা খেকোর পক্ষে অটল, বাগবাটোয়ারায় তার্ওা শরিক। এদিকে ফয়ছল এন্ড কোম্পানীর স্বত্বাধিকারী ডিএম ফয়ছল বলেন, স্থানীয় তার দলের কিছু লোক তার বিরোধীতা করতে যেয়ে টিলা কাটাকে হাই লাইট্স করছে। ্ওই কারখানায় বেশির ভাগ উন্নয়ন কাজ তার প্রতিষ্ঠান করে যাচ্ছে, তার সুনামও আছে। সেকারনে স্থানীয় এমপি (মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী) মহোদয় আস্থাভাজনও তিনি। তারপর বলেন, টিলা তিনি কাটেননি, শুধু মাত্র ট্রাক্টর ভাড়া নিয়ে আবাসিক প্রকল্পে কাজে লাগিয়েছেন। তবে ট্রাক্টর গুলো টিলার মাঠি কেটে প্রকল্পে ফেলছে বলে তিনি স্বীকার করে বলেন, এই প্রকল্পে মাঠি ফেলার আগ্ওে টিলার মাঠি কাটা হতো। বিষয়টি নতুন কিছু নয়। সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন বরেন, টিলা কাটার স্থলটি তারা পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে তার প্রস্তুত নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে শাহ্জালাল সারকারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুল হক বলেন, টিলা কাটার বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে, এ ব্যাপারে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন। তারা ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন করেছেন বল্ওে জানান। এদিকে টিলা কাটার ঘটনা সর্বত্র প্রকাশ হয়ে পড়ায়, স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতবিক্ষত টিলাটি পরিদর্শন করে, সকল প্রকার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।