পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ম মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ই-হজ কার্যক্রম চলছে। সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় ইনশাআল্লাহ ২০১৮ সালের হজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে। ধর্ম মন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরই হজ নিয়ে কিছু অব্যবস্থাপনা হয়, আগামীতে যারাই হজ নিয়ে অনিয়ম করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল বুধবার সকালে নিউ ইস্কাটনস্থ বিয়াম মিলনায়তনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে হজ ব্যবস্থাপনা শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে একথা বলেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি ও ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র সভাপতি ও সউদী-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান বজলুল হক হারুন এমপি। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব (হজ) মো: হাফিজ উদ্দিন। আরো বক্তব্য রাখেন ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র সদস্য সাইদুর রহমান আউয়াল এমপি ও হাবের মহাসচিব মো: শাহাদাত হোসাইন তসলিম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম ফারুক, ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র সদস্য দিলারা বেগম এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো: আব্দুল্লাহ, ধর্ম মন্ত্রী’র পিএস ড. আবুল কালাম আজাদ, এপিএস মো: শফিকুল ইসলাম শফিক, উপ-সচিব (হজ) শরাফত জামান ও ধর্ম মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু সাঈদ।
ধর্ম মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ দিন পর আমরা হজ ব্যবস্থাপনা সর্ম্পকিত কর্মশালার মাধ্যমে অনেক কিছু অবগত হতে পারবো। তিনি বলেন, সকলের মতামতের ভিত্তিতে ভুল-ত্রæটি সংশোধন করে আগামী হজ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রমকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বিমান মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, গত হজে বেসরকারী হজ এজেন্সিগুলোর অসহযোগিতার দরুণ বহু হজ ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। আগামী হজ মৌসুমে আগে থেকেই হাবের সহযোগিতায় হজ ফ্লাইট সিডিউল করা হবে যাতে কোনো হজ ফ্লাইট আর খালি না যায়। বিমান মন্ত্রী সউদী-বাংলাদেশ দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তির’ প্রতিনিধি দলে বিমানের একজন কর্মকর্তাকে অর্ন্তভুক্ত করার অনুরোধ জানান। ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র সভাপতি বজলুল হক হারুন এমপি ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ জাতিসংঘের স্বীকৃতি পাওয়ায় শুকরিয়া আদায় করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নিদের্শনায় সুষ্ঠভাবে হজ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, আগামী হজও সকলের সহয়োগিতায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে ইনশাআল্লাহ। হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, গত হজে অব্যবস্থাপনার প্রধান কারণ হচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জুলাই মাসে মুয়াল্লেম ফি’র টাকা ফেরত দেয়া। এতে এজেন্সিগুলো মক্কা-মদিনায় সময়মতো বাড়ী ভাড়া করতে পারেনি। এ জন্য বিমানের ২৬টি হজ ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। তিনি বলেন, হজ চলাকালে সউদী মুয়াল্লেম বাংলাদেশী বেসরকারী হাজীদের গাড়ী দেয়নি। এতে হাজীগণ অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। ফলে অনেক এজেন্সি’র মালিক নানা দুর্নামের শিকার হয়েছেন। হাব মহাসচিব তসলিম বলেন, ২০১৭ সালের হজে বহু চ্যালেঞ্জের পরেও হজ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম ১০০% সফল হয়েছে। আগামী হজও সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সফল হবে ইনশাআল্লাহ। কর্মশালায় প্রায় দেড় শ’ প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।