বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাজীপুরের শ্রীপুরে আপন ভাগ্নিকে হত্যার দায়ে মামাকে ফাঁসি এবং অপর দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার সকালে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- গাজীপুরের শ্রীপুর থানার চকপাড়া গ্রামের হাসমত আলী ওরফে হাসেমের ছেলে মো. রিপন মিয়া (৩৫)। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার ভাটকান্দি গ্রামের মো. আব্দুর রহিমের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৩) ও শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার মো. মোস্তফার ছেলে মো. মোজাফফর (২১)।
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে রিপন মিয়া তার ওই দুই সহযোগীকে নিয়ে ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর রাতে আপন ভাগ্নি নাজমীনকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের মা আছমা বেগম বাদী হয়ে ৩০ অক্টোবর সন্দেহবশত প্রতিবেশী তিনজনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খন্দকার আমিনুর রহমান মামলার তদন্তের জের ধরে নিহতের আপন মামা মো. রিপন মিয়া ও তার দুই সহযোগী রবিউল এবং মোজাফফরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। পুলিশ ২০১৬ সালে ৬ জানুয়ারি রিপন মিয়া, রবিউল ও মোজাফফরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে রিপন মিয়া স্বীকার করে যে, পূর্ব শত্রুতা ও জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষদের ফাঁসাতেই সে তার ভাগ্নিকে হত্যা করে। মামলায় আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহম্মদ, আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও ওয়াহিদুজ্জামান আকন (তমিজ)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।