নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
১৮ বলে দরকার ১৬ রান। হাতে মেহেদী মারুফ, কাইরন পোলার্ড ও নাদীফ চৌধুরীর মত স্বীকৃত তিন ব্যাটসম্যান। মোহাম্মদ আমিরও যে একেবারেই ব্যাট চালাতে পারেন না তা নয়। ছিলেন আবু হায়দার রনিও। এরপরও সহজ এই সমীকরণ মেলাতে পারেনি ঢাকা ডায়নামাইটস। রংপুর রাইডার্সের কাছে তারা ম্যাচ হেরেছে ৩ রানে।
ঢাকার সমানে ছিল মাত্র ১৪৩ রানের লক্ষ্য। মামুলি এই লক্ষ্যে কখনো স্বস্তিতে না থাকলেও শেষ ওভারের আগ পর্যন্ত মনে হয়নি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা জিততে পারবে না। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১০ রান। এসময় পোলার্ড-পেরেরার লড়াইটা জমে ওঠে বেশ। প্রথম দুই বলে সিঙ্গেল নেননি পোলার্ড। এর কারন বুঝিয়ে দেন তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে। ৩ বলে ৪ রানের সমীকরণেও সিঙ্গেল নেয়া থেকে বিরত থাকেন ক্যারিবীয় এই তারকা। কিন্তু পরের বলেই দুর্দান্ত ডেরিভারিতে বোল্ড করে পোলার্ডের ভুলটা ধরিয়ে দেন পেরেরা। শেষ বলে প্রয়োজনীয় বাইন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে বোল্ড হন রনিও। তার মানে পরের ম্যাচে হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকছে লঙ্কান অল-রাউন্ডারের সামনে। এমন সব নাটক নন-স্ট্রাইক প্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখেন আমির।
পেরেরাকে ওমন ‘নির্বিঘœ’ বোলিংয়ের সুযোগ তৈরী করে দেন মূলত লাথিস মালিঙ্গা ও রুবেল হোসেন। ১৮ বলে ১৬ রানের কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে পর পর দুই ওভারে মাত্র ৩ রান করে দিয়ে একটি করে উইকেট তুলে নেন মালিঙ্গা ও রুবেল।
ঢাকার ইনিংসে নেই কোন ত্রিশোর্ধো ইনিংস। সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন জহুরুল ইসলাম। ইভিন লুইসের ব্যাট থেকে আসে ২৮। লুইস ফেরার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ঢাকা। সাকিব-মারুফ-আফ্রিদি-পোলার্ডরা দুই অঙ্কে পৌছালেও কাজের কাজটি করে যেতে পারেননি কেউ-ই। পোলার্ডের ১৪ বলে ১২ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি মাত্র ঐ একটি।
ঢাকার ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা বলতে গেলে অবশ্য রংপুরের দুর্দান্ত বোলিংকে আড়াল করা হবে। বল হাতে এদিন দুর্দান্ত ছিলেন মাশরাফিরা। মাশরাফি-গাজী-রুবেল-পেরেরা প্রত্যেকেই নেন দুটি করে উইকেট। ফলাফল হিসেবে টানা দুই জয়ে লড়াইয়ে ভালোভাবে টিকে থাকল তাদের রংপুর।
এর আগে গেইল আর ব্রেন্ডন ম্যাককালামের স্বপ্নের ওপেনিং জুটিটার শুরুটা খারাপ ছিল না। গেইল একাই বলতে গেলে এগিয়ে নেন ৩৬ রানের জুটিটি। ৬ রান করে ম্যাককালাম পাকিস্তানি লেগস্পিনার শহিদ আফ্রিদির বলে বোল্ড হলে ভাঙে এ জুটি। এরপরও থামেননি গেইল। তাÐব চালিয়ে ২৬ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন। গেইলের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ওভারের প্রথম বলেই তাকে সাজঘরে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন। শেষ পর্যন্ত ৫১ রানের ইনিংস খেলে যখন সাজঘরমুখী ক্যারিবীয় ওপেনার, তার নামের পাশে ৫টি চার আর ৪টি ছক্কা।
গেইল-ঝড়ের পরও রংপুর রাইডার্সের স্কোর বেশিদূর যায়নি সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে। শেষ ওভারে এই স্পিনার ৫ বলে তুলে নেন ৩ উইকেট, সঙ্গে আছে একটি রান আউটও। যাতে ১৯.৫ ওভারে অলআউট হওয়া রংপুর স্কোরে জমা করতে পারে ১৪২ রান। ২৬ বল খেলে ২২ রান করেন মোহাম্মদ মিঠুন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স : ১৯.৫ ওভারে ১৪২/১০ (গেইল ৫১, মিঠুন ২২, বোপারা ১২, পেরেরা ১৫; আমির ১/৩৪, আফ্রিদি ২/৩৯, মোসাদ্দেক ১/৪, সাকিব ৫/১৬)।
ঢাকা ডায়নামাইটস : ২০ ওভারে ১৩৯/১০ (লুইস ২৮, জহুরুল ২৯, মারুফ ১৫, আফ্রিদি ২১, পোলার্ড ১২; মাশরাফি ২/৩০, সোহাগ ২/১৮, মালিঙ্গা ১/২০, রুবেল ২/২৯, পেরেরা ২/৩৭)।
ফল : রংপুর রাইডার্স ৩ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : ক্রিস গেইল (রংপুর)।
ঢাকা পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিল
দল ম্যাচ জয় হার পরি. পয়েন্ট নে.রা.রে
কুমিল্লা ৬ ৫ ১ ০ ১০ ০.৭৫৬
ঢাকা ৮ ৪ ৩ ১ ৯ ১.৫২৪
খুলনা ৭ ৪ ২ ১ ৯ -০.০৪৫
সিলেট ৮ ৩ ৪ ১ ৭ -০.৬৭২
রংপুর ৬ ৩ ৩ ০ ৬ -০.২৯৪
রাজশাহী ৭ ২ ৫ ০ ৪ -০.৮০৫
চিটাগং ৬ ১ ৪ ১ ৩ -০.৬৩৮
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।