পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ায় পুলিশের এক সদস্যকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন ছাত্রলীগের একজন নেতা। আরমান হোসেন ওরফে মানিক (২২) নামের ছাত্রলীগের ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার উপজেলার সোনাতলা উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে এ ঘটনাটি ঘটে। আরমান নাগডেমড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার বড় ভাই হারুন-অর রশীদ নাগডেমড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল নাগডেমড়া ইউনিয়নের সোনাতলা উচ্চবিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আরমান পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতরের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম তাকে বাধা দেন। এ নিয়ে দুজনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আরমান কনস্টেবল শফিককে কিল-ঘুষি মেরে দ্রæত পালিয়ে যান। পরে শফিককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে বেড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনার ব্যাপারে আরমানের বড় ভাই হারুন-অর রশীদকে পুলিশের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হলে তিনি আরমানকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ আরমানকে গ্রেপ্তার করে সাঁথিয়া থানায় নিয়ে যায়।
আরমানের বড় ভাই হারুন-অর রশীদ বলেন, ‘আরমান অন্যায় করেছে। তাই আমি তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে সহায়তা করেছি।’
বেড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান বলেন, ‘আরমানকে গ্রেপ্তারে তার ভাই আমাদের সহায়তা করেছেন। এ ঘটনায় এএসআই মাহবুব হোসেন বাদী হয়ে আরমানের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া থানায় মামলা করেছেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।