নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শ্রীলঙ্কাকে গুটিয়ে দিতে ৩০ ওভার হাতে রাখলেন বিরাট কোহলি। হিসাবটা হয়তো ঠিকই ছিল, কিন্তু আলোকস্বল্পতার কথা হয়তো এদিন ভারত অধিনায়কের মাথায় ছিল না। ঠিক যে কারণে আগের চারদিনই আগেভাগেই দিনের ইতি টানতে হয়েছিল।
দিনের খেলা তখনও সাড়ে তিন ওভার বাকি। এমন সময় দুই আম্পায়ার নাইজেল লং ও জোয়েল উলিসন জানিয়ে দিলেন ম্যাচ এখানেই সমাপ্ত, কারণÑ আলোক স্বল্পতা। শ্রীলঙ্কা তখন ৭৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে পরাজয় এড়ানোর জন্যে লড়ছে। আম্পায়রের এমন সিদ্ধান্তে নিশ্চয় হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন লঙ্কান সমর্থকরা। প্রথম ইনিংসের পর আবারো ভারতীয় পেসারদের দাপট। তাও আবার ভারতের মাটিতে। অকল্পনীয় ব্যাপারই বটে।
কোলকাতার ইডেন গার্ডেনের এই টেস্টটা পাঁচ দিনের না বলে তিন দিনের বলাই শ্রেয়। প্রথম দুই দিনের অধিকাংশ সময়ই তো কেড়ে নিলো বৈরী আবহাওয়া। প্রথমত বৃষ্টি, সেই সাথে যোগ হয় আলোর ঘাটতি। এরপরও প্রথম ইনিংসে ভারতের ১৭২ রানে গুটিয়ে যাওয়া ও শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ১২২ রানের লিড নতুন করে ভাবচ্ছিল ম্যাচ নিয়ে। চতুর্থ দিনের শুরুতেও মনে হচ্ছিল কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে স্বাগতিকদের জন্যে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ালো তারা। ঘাটতি পূরত করে উল্টো ২৩১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বিরাট কোহলির দল। পুজারা ও ধাওয়ানের দুর্দান্ত শুরুর পর অপরাজিত শতকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন কোহলি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলির এটি ৫০তম শতক। এজন্য তিনি খেলেছেন ৩৪৮ ইনিংস। দ্রæততম, তবে সেটা দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান হাশিম আমলার সাথে যৌথভাবে। ১১৯ বলে ১২টি চার ও ২ ছক্কায় ১০৪ রান করেন ভারত অধিনায়ক। পরে অবশ্য আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি। তাতে কি, ৮ উইকেটে ৩৫২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন কোহলি।
ব্যাট হাতে কোহলি কৃতিত্ব দেখালেও ম্যাচে উত্তেজনা বাড়ায় মূলত ভারতীয় পেসাররাই। ৩৩ বছর পর নিজেদের মাঠে ইনিংসের সবকটি উইকেট তুলে নেয়ার কৃতিত্ব দেখান ভারতীয় পেসাররা। দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রায় একই চিত্র। আশ্বিন তো হাতই ঘোরাননি, জাদেজা এক ওভার ঘুরালেও কোন উইকেট পাননি। সাত উইকেটই ভাগ করে নেন তিন পেসার ভুবেনেশ্বর কুমার, মোহাম্মাদ সামি ও উমেশ যাদব। ৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে আগ্রাসী ভুমিকায় ছিলেন ভুবেনেশ্বর।
ড্রয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে শ্রীলঙ্কা। পঞ্চম উইকেটে চান্দিমাল-ডিকভেলার ৪৭ রানের জুটিতে শঙ্কা কাটিয়ে না উঠতেই ৬ রানের মধ্যে আরো ৩ উইকেট হারিয়ে কঠিন পরিস্থিতির সামনে পড়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রকৃতির বদৌলতে স্বস্তির ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে চান্দিমালের দল।
শ্রীলঙ্কা : ২৯৪ (হেরাথ ৬৭, ম্যাথিউস ৫২, থিরিমান্নে ৫১; ভুবেনেশ্বর ৪/৮৮, সামি ৪/১০০) ও ৭৫/৭ (ডিকভেলা ২৭, ভবেনেশ্বর ৪/৮, সামি ২/৩৪)। ভারত : ১৭২ (পুজারা ৫২; লাকমল ৪/২৬, পেরেরো ২/১৯) ও ৩৫২/৮ ডিক্লে. কোহলি ১০৪*, ধাওয়ান ৯৪, রাহুল ৭৯, শনাকা ৩/৭৬, লাকমল ৩/৯৩)। ফল : ম্যাচ ড্র। ম্যাচ সেরা : ভুবেনেশ্বর কুমার (ভারত)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।