বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার কেরানীগঞ্জের সাজেদা হাসপাতালে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ভয় দেখিয়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে রোগীর পেট কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায় কেরানীগঞ্জ পেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি আবু জাফরের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার পপি কয়েকেদিন আগে প্রেগনেন্সি টেষ্ট করাতে গিয়েছিলেন সাজেদা হাসপাতালে। ইউরিন টেস্টের পর গাইনীর ডাক্তার কাবেরী সালাম জানান, ‘রোগী প্রেগনেন্ট’। এসময় তাকে আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। পরদিন পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে জানানো হয়, রোগী প্রেগনেন্ট কিন্তু বাচ্চা জরায়ুতে নেই। সেটা টিউবের ভেতর আছে। এসময় তিনি রোগী ও স্বজনদের ভয় দেখান দ্রæত অপারেশন করে টিউব কেটে ফেলতে হবে। অন্যথায় টিউব ফেটে রোগীর প্রাণহানীর সম্ভাবনা রয়েছে। অপারেশনের জন্য ১৮ হাজার টাকা কাউন্টারে জমা দিতে বলেন এবং ৩/৪ ব্যাগ রক্ত যোগাড় করে রাখতে বলেন। আকস্মিক এমন খবরে রোগী ও স্বজনরা হতভম্ব হয়ে যান এবং রোগীর জীবন বাঁচাতে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু অপারেশন শেষে ডাক্তার কাবেরী সালাম জানান, রোগীর বাচ্চা জরায়ুতে আছে, এমনকি তার টিউবও ভালো আছে। ডাক্তারের এমন কথায় রোগীর স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। সব কিছু ভালো থাকলে পেট কেটে অপারেশন করা হলে কেনো? এমন প্রশ্ন তোলেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি আবু জাফর জানান, গত ১৪ নভেম্বর বিকালে তার স্ত্রীর অপারেশন করেন সাজেদা হাসপাতালের ডা: কাবেরী সালাম। তিনি জানিয়েছিলেন রোগীর অবস্থা খারাপ। দ্রæত অপারেশন করাতে হবে। অপারেশন শেষে তিনি পুনরায় জানান, রোগীর যে সমস্যা মনে করা হয়েছিল আসলে তার ওই রকম কোন সমস্যা ছিল না। এসময় ডাক্তারের কাছে জনাতে চাওয়া হয়, সব কিছু ঠিক থাকলে রোগীকে অপারেশনের কথা বলে পেট কাটলেন কেন? এবিষয়ে ওই ডাক্তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এবিষয়ে ডা: কাবেরী সালাম জানান, প্যাথলজিক্যাল রিপোর্টের কারনে তিনি অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু পেট কাটার পর দেখেন রোগীর এরকম সমস্যা নেই। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকের মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, এ বিষয়ে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।