পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সফররত চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সংলাপে সহযোগিতা করতে তার দেশের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিঙ্কালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে আমরা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সংলাপে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।’
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট বাংলাদেশের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। অথচ এটা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা, যা বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর (বিসিআইএম-ইসি) সম্পর্কে আলাপকালে ওয়াংই বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে চার জাতির উদ্যোগের গতি মন্থর হোক তা চীন চায় না।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে দেশটির ওপর চাপ বৃদ্ধির জন্য চীনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি পুনরায় আহŸান জানান। তিনি বলেন, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য মিয়ানমারকে তার দেশের নাগরিকদের নিরাপদে, নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গারা তাদের লোক এবং তাদেরকে ফিরিয়ে নিতে হবে।’
রোহিঙ্গাদের বিশেষ করে নারী ও শিশুদের দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তাদের মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোতে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চালানোর জন্য কাউকে বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহার করতে না দেয়া আমাদের সিদ্ধান্ত।’
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০১০ ও ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর এবং চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের সময় দু’দেশের সম্মত হওয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার কো-অপারেশন (কৌশলগত অংশীদার সহযোগিতা)’র অগ্রগতি দেখতে তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার দেশের প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে ওয়াংই বাংলাদেশকে দেয়া তার দেশের রেয়াতি ঋণ ৫শ’ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে উল্লেখ করে বলেন, ‘চীন দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার আওতায় বাংলাদেশকে আরো বেশি সহযোগিতা করতে চায়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম ও বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন সফররত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। গতকাল দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গতকাল দুপুর ১২টার একটু আগে স্পেশাল ফ্লাইটে করে তিনি হযরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় চলে আসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।