রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কামরুল হাসান, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) থেকে
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টি ইউনিয়নে বিএনপির কোনো প্রার্থী মাঠে না থাকায় আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হয়ে মাঠে নামছেন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহীরা। তারা প্রতীক বরাদ্দ শেষে ভোট প্রার্থনার জন্য মাঠে গণসংযোগ শুরু করছেন। তবে গত ২ মার্চ মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সাদুল্লাপুর ও কান্দি ইউনিয়নে ২ বিএনপি প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিলেও এখন তাদের মাঠে দেখা যাচ্ছে না। বাকি ২ ইউনিয়ন ঘাঘর ইউপিতে মামলা থাকার কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয় এবং হিরন ইউপিতে আওয়ামী লীগের দুজন প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় চরম সমস্যার সৃষ্টি হয়। ফলে দুজনেরই প্রার্থিতা বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এদিকে পিঞ্জুরী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হন। এবার প্রথম দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়ায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে তৃণমূলের সাধারণ আ.লীগ প্রেমিক বক্তদের মাঝে। সে কারণে ভোটারদের মধ্যে কোনো ধরনের উৎসাহ নেই। তারা বলেছেন, কোটালীপাড়ায় এবার দলীয় যোগ্য ব্যক্তিদের মূল্যায়ন না করে যারা বিগত দিনে ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন, এমনকি কয়েকজনে বিরুদ্ধে পরিষদের সদস্যরা অনাস্থা দিয়ে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন, সেই দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তাই তারা আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের যোগ্য মনে করে ভোট প্রদান করতে চান। আবার কেউ কেউ ভাবছেন দল যেহেতু সমর্থন দিয়েছে সেহেতু তাকেই ভোট দেব, ফলাফল যা হয়। অন্যদিকে কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা দলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চেয়েছিলেন না। কিন্তু দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়ায় তৃণমূলের স্থানীয় আ.লীগ প্রেমিক ভোটারদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ফলে তারা যোগ্য প্রার্থী মনে করে আমাদের মাঠে নামিয়েছেন। কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে প্রার্থী ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ভোটাররা আরো জানিয়েছেন, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হলে অনেক ইউনিয়নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১০টি ইউনিয়নে যারা মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন কলাবাড়ীতে আ.লীগ মনোনীত মাইকেল ওঝা, প্রতিদ্বন্দ্বী চন্দ্র শেখর বিশ্বাস ও সর্বেশ্বর ম-ল, সাদুল্লাপুর আ.লীগ মনোনীত ভীম চন্দ্র বাড়ৈ, প্রতিদ্বন্দ্বী সমর চাঁদ মৃধা খোকন ও দেশবন্ধু বিশ্বাস, রাধাগঞ্জ আওয়ামী লীগ মনোনীত অমৃত লাল হালদার, প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আ.লীগের প্রচার সম্পাদক ভীম বাকচী, রামশীল আ.লীগ মনোনীত খোকন বালা, প্রতিদ্বন্দ্বী রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও রামানন্দ বৈদ্য, বান্ধাবাড়ী আ.লীগ মনোনীত মহব্বত আলী গোলদার, প্রতিদ্বন্দ্বী লিপন মিয়া, আমতলী আ.লীগ মনোনীত আব্দুল হান্নান শেখ, প্রতিদ্বন্দ্বী আলমগীর হোসেন মিয়া (মুহরী) ও কাবুল হাজরা, শুয়াগ্রাম আ.লীগ মনোনীত মনীন্দ্রনাথ হালদার, প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সুধারঞ্জন রায় ও ডা. জাহিদ হাসান রিন্টু, কান্দি আ.লীগ মনোনীত উত্তম কুমার বাড়ৈ, প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা ধীরেন্দ্রনাথ মধু ও মেন্টর বিশ্বাস, কুশলা আ.লীগ মনোনীত কামরুল ইসলাম বাদল, প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা সুলতান মাহামুদ চৌধুরী, হিরন স্বতন্ত্র বদিউজ্জামান দাড়িয়া, প্রতিদ্বন্দ্বী তোতা দাড়িয়া ও মামুনুর রসিদ রুবেল মাঠে রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।