পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাগরিক সমাবেশ বিএনপির সঙ্গে কোন পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়। এ সমাবেশ সবার উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে, বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে তারাই এ সমাবেশে উপস্থিত হবেন।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক কমিটির সমাবেশস্থল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নাগরিক সমাবেশ বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধরনের কোন সমাবেশ নয়। আর আওয়ামী লীগ বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি কোন ধরনের কর্মসূচি পালন করে না। এটা পাল্টা সমাবেশ না, আমরা বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি করি না। বিএনপি প্রয়োজন মনে করলে পাল্টাপাল্টি করবে, সেটা তাদের ব্যাপার।
সাংবাদিকদেরকে কাদের বলেন, আপনারা এটা পাল্টাপাল্টি ভাববেন কেন? আমরা এমন মনে করি না। এটা ৭ মার্চের স্বীকৃতির সেলিব্রেশন।
বিএনপির ১২ নভেম্বরের সমাবেশের অনেক আগেই এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, বিএনপিই আওয়ামী লীগের নাগরিক সমাবেশকে ফলো করে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করেছে।
সমাবেশ থেকে কী ধরনের বার্তা আসতে পারে-এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে সভাপতি ইমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, প্রধান অতিথি বাঙালির বিশ্বাসের প্রতিনিধি শেখ হাসিনা। তারা কী বলবেন বা বার্তা দেবেন; সেটা বলার ধৃষ্টতা আমি কেন দেখাব?
ইউনেস্কোতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্বীকৃতির জন্য প্রস্তাব উত্থাপনকারী শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে সমাবেশে নিমন্ত্রণ করা হবে কি না- জানতে চাইলে কাদের বলেন, সবাইকে চিঠি দেয়া হচ্ছে, আজও চিঠি যাবে। তিনি বলেন, আমার মনে হয় ভাষণটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আপনাদের বুঝতে হবে। আমি প্রস্তাব দিলাম, তাতে কি আমি স্বীকৃতি পেলাম? কে প্রস্তাব দিলো সেটা না, স্বীকৃতিটা ভাষণের।
সমাবেশে জনসমাগম কেমন হবে বলে আশা করছেন-এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৭ মার্চ কেবল আওয়ামী লীগের সমাবেশ ছিল না। তেমনি কালকের সমাবেশেও সবাই আসবে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সবাই আসবে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামান্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর এ ভাষনের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ দুপুর আড়াইটায় এ নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
নাগরিক কমিটির আহŸায়ক এমিরেটাস প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সমাবেশকে সফল করতে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগসহ মক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সমাবেশে যোগদান করবেন বলে জানা গেছে।
এ সময় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।