যথেষ্ট বেড়েছে। জার্মানির গণমাধ্যমগুলো এ তথ্য প্রকাশ করেছে। জার্মানির লেফট পার্টি দেশের অস্ত্র রফতানি নিয়ে একটি সংসদীয় তদন্তের আহŸান জানায়। এর প্রতিক্রিয়ায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে জার্মানি প্রায় ১৪৯ কোটি ডলার (১২৭ কোটি ইউরো) সমমূল্যের অস্ত্র রফতানির অনুমোদন দিয়েছে। এসব রফতানির বেশির ভাগেরই গন্তব্যস্থল ছিল ইইউর সদস্য দেশ বা ন্যাটোভুক্ত দেশ এবং জার্মান আইনের আওতায় ‘ন্যাটো সমতুল্য’ দেশগুলোরও বাইরে। ন্যাটো সমতুল্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সুইজারল্যান্ড, জাপান, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। চলতি বছর ‘তৃতীয় বিশ্বে’ রফতানিকৃত জার্মান অস্ত্রের সবচেয়ে বড় গ্রাহকের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মিসর (২৯ কোটি ৮০ লাখ ইউরো)। এর পরই রয়েছে সউদী আরব (১৪ কোটি ৮০ লাখ ইউরো) ও ইসরাইল (৮ কোটি ৪০ লাখ ইউরো)। মন্ত্রিসভা পর্যায়ের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জার্মান গণমাধ্যমগুলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অস্ত্রের ধরন সম্পর্কে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে এ সংবাদ প্রকাশের পর জার্মানিতে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে, বিশেষত সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির বৈধতা নিয়ে। লেফট পার্টির রাজনীতিবিদ স্টেফান লিবিখ এ নিয়ে পার্লামেন্টারি তদন্ত শুরু করেন। সউদী আরবসহ মিসরের কাছে ব্যাপক পরিমাণ অস্ত্র রফতানির অনুমোদনের ক্রমাগত সমালোচনা করে আসছেন। গ্রিনস পার্টির রাজনীতিবিদ আগ্নিয়েস্কা ব্রুগার জার্মান সংবাদপত্র জুদডয়েচে জাইতুংয়ে একই সুরে কথা বলেছেন। তার দল জার্মান অস্ত্র রফতানির বিষয়ে একটি আইনি কাঠামো গঠনের জন্য লড়াই করবে বলে ব্রæগার প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এ আইনি কাঠামো গঠনের মধ্য দিয়ে আইন বাস্তবে প্রয়োগের বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হবে। গ্রিনস পার্টি প্রায়ই জার্মানির অস্ত্র রফতানির জন্য একটি কঠোরতর বিধি ব্যবস্থার আহŸান জানিয়ে আসছে। সিনহুয়া।