Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংলাপের মাধ্যমে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করছে বেইজিং

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্প নিয়ে নয়াদিল্লীর অনেক সন্দেহ ও উদ্বেগ থাকলেও বেইজিং দৃঢ়ভাবে বলেছে যে বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্প অর্থনৈতিক সহযোগিতার উপর ভিত্তি করে নেয়া হয়েছে। এই অঞ্চলের শান্তি ও সমৃদ্ধি জোরদার করাই প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য। চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা চেন ফেং বলেন, সিপিইসি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জনের হাতিয়ার নয় এবং আঞ্চলিক দ্ব›েদ্বর ক্ষেত্রেও একে ব্যবহার করা হবে না। অর্থনৈতিক এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পারস্পরিক সম্পর্ক স¤প্রসারণ। এই অর্থনৈতিক কাঠামোতে অন্যান্য দেশের অংশগ্রহণকে চীন সব সময় স্বাগত জানায়। চীন সফররত ‘পাকিস্তান সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ (সিপিএনই)’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপকালে ফেং এসব কথা বলেন। তিনি জানান, চীনের পক্ষ থেকে ভারতকে বারবার স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে যে এই অঞ্চলে তাদের অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলোর কোনো আধিপত্যবাদী ইচ্ছা নেই। চীনা কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বরং সিপিইসিকে আঞ্চলিক দেশগুলোর সাথে সমতার সম্পর্ক গড়ে তোলার উপায় হিসেবে দেখতে চাই। ফেং বলেন, সংলাপের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করছে বেইজিং। প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভারতের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মনোভাব পরিত্যাগ করার জন্য চীন বিভিন্ন সময় ভারতকে অনুরোধ করেছে। কাশ্মীর বিরোধে চীন কোনো পক্ষ নয় বলেও জানান ফেং। কাশ্মীরের কিছু অংশ চীন দখল করে রেখেছে বলে ভারত যে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে চীনা কর্মকর্তা জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা অতীতেও এই ধরনের দাবি অস্বীকার করেছি। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার একটি দ্ব›দ্ব কাশ্মীর। এর শান্তিপূর্ণ সমাধানই আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধির একমাত্র উপায়। জইশ-এ-মোহাম্মদ (জেএম) প্রধান মাসুদ আজহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাবে চীনের ভেটো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্রিকস ঘোষণার পর চীনের এই ভেটোকে কোনোভাবেই কপটতা বলা যায় না। কারণ ব্রিকস সদস্যরা এমন কোনো চুক্তি করেনি যে চীন তার নীতি পরিবর্তন করবে। সিপিইসি’র প্রবেশদ্বার গোয়াদর বন্দর সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রকল্প সমাপ্তির সময়সীমা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। ফেং বলেন, গোয়াদরে পরিষ্কার পানি সরবরাহের জন্য চীন একটি পানি শোধনাগার স্থাপন করেছে। তবে এই শোধনাগার স্থানীয়দের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। এই বিষয়ে দ্রæত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পাকিস্তানে চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সম্পর্কে তিনি জানান, পাকিস্তানে চীনা শ্রমিক ও প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সিনহুয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ