পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুরান ঢাকার দুই আওয়ামী লীগ নেতার দ্ব›েদ্বর জেরে তাদের কর্মী-সমর্থকরা আজিমপুর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এই বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, যারাই শৃঙ্খলা নষ্ট করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে পরিস্কার ভাবে বলে দেয়া হয়েছে। যারাই শৃঙ্খলা নষ্ট করেছে তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে এ্যাকশন নিতে হবে। ইতোমধ্যে অনেককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তদন্ত হচ্ছে। যথা সময়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেখানেই যারা বিশৃঙ্খলা করবে কোন ছাড় নেই।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষনের ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে মহিলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনাও করেন ওবায়দুল কাদের। এর আগে গতকাল রাজধানীর আজিমপুরে মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের দুই পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কিছু যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ঢিল ছোড়াছুড়ির মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত আজিমপুর এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্ষমতাসীন দলে কিছু কিছু পরগাছা রয়েছে। এই পরগাছাদের আমরা অনেক মুক্ত করেছি। কারণ, আমরা কাউকে শাস্তি ছাড়া পার পেয়ে যেতে দিচ্ছি না। তিনি বলেন, অতীতে কোন সরকারের আমলে দলীয় নেতা, দলীয় ক্যাডার কারও বিচার হয়েছে, শাস্তি হয়েছে, সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এমন প্রমাণ এদেশে নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ এদেশে এই পর্যন্ত শৃঙ্খলা যারা ভঙ্গ করেছে তাদের বিরুদ্ধে শুধু সাংগঠনিক ব্যবস্থা নয় প্রশাসনিক ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।
আদালতে সরকারের কোন হস্তক্ষেপ নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আজকে ক্ষমতায়, আওয়ামী লীগের এমপির দন্ড হয়ে গেছে দুদকের মামলায়। আওয়ামী লীগের আরেক এমপি খুনের মামলার মুখোমুখি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দু-জন মন্ত্রীও দুদকের মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন। যদি আওয়ামী লীগ আদালতের কার্যক্রমে, বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করতো ; তাহলে আওয়ামী লীগের এমপি এবং মন্ত্রীরা কেন দুদকের মামলায় হাজিরা দিচ্ছে? কেনইবা আওয়ামী লীগের এমপিদের সাজা হয়, কেনইবা আওয়ামী লীগের এমপি কারাগারে। দন্ড হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের এক এমপির।
কাদের বলেন, তাহলে বেগম জিয়া কি অন্য গ্রহের বাসিন্দা? বেগম জিয়া কেনইবা আদালতে গিয়ে একই কথা বলছেন, একই মিথ্যাচার করছেন? যে মামলায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সে মামলা-বেগম জিয়ার তৈরি। বেগম জিয়ার সৃষ্টি ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনরা করেছে। এই দুজন তারই সৃষ্ট, তারই শিষ্য। তার লোকেরাই তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। শেখ হাসিনা সরকার এই মামলা করেনি।
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আজকে পরিস্কারভাবে বলতে চাই, বেগম জিয়া আজকে আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে তিনি বার বার একটা কথা বলেছেন। তিনি বিচার পাবেন না, ন্যায় বিচার পাবেন না; বার বার এককথা বলছেন। তার কি তাহলে আদালতের উপর বিশ্বাস নেই? তিনি ন্যায় বিচার পাবেন না?
তিনি বলেন, আবার আত্ম পক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দিতে গিয়ে পাঁচ দিন অলরেডি গন। দেড় ঘন্টা কম তিনি একদিনও বলেননি। এক দিনে তিনি মামলার আত্ম পক্ষ সমর্থনে যত ঘন্টা বক্তব্য রেখেছেন এটা নতুন বিশ্বরেকর্ড। তার পরও তিনি আবারও সময় চেয়েছেন।
কাদের আরও বলেন, আপনি বিচার পাবেন কি পাবেন না, এটাতো আপনি বিচার ব্যাবস্থাকে বিলম্বিত করছেন। বিলম্বিত করে আপনি বিচার আশা করছেন। আপনার বুকে যদি সাহস থাকে আপনি নির্দোষ এই সাহস থাকে তাহলে বিচার কার্য বিলম্বিত না করে বিচার কার্য ত্বরান্বিত করুন। আপনি নির্দোষ হলে আদালত আপনাকে শাস্তি দিতে পারে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি বেগম জিয়াকে আশ্বস্ত করছি, আমরা এর আগেও কোন মামলায় হস্তক্ষেপ করিনি। বেগম জিয়ার মামলায়ও সরকার কোন হস্তক্ষেপ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।
মহিলা লীগের অনুষ্ঠানে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙ্গে দেয়া প্রসঙ্গেও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, অনেকে অনেক সময় না বুঝেও ব্যবস্থা নেয়। দলের কোন কমিটি অব্যাহতি পাবে বা ভেঙ্গে যাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার কোন স্থানীয় সংগঠনের = নেই। আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া এই সব সিদ্ধান্ত কেউ নিতে পারে না। যদি নিয়ে থাকেন সেই সিদ্ধান্ত সঠিক নয় এবং এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না।
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মহিলা সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা খাতুন কৃক, দপ্তর সম্পাদক রোজিনা নাছরীন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।