Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রেক্সিট বিলের প্রথম সংশোধনীতে জয় পেল থেরেসা মে’র সরকার

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল ব্রিটেন। মাইলফলক ব্রেক্সিট বিলের প্রথম পার্লামেন্টারি চ্যালেঞ্জ সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে থেরেসা মে’র সরকার। গত মঙ্গলবার থেকে আইনটির বিভিন্ন সংশোধনীর ওপর ভোট দিতে শুরু করেছেন ব্রিটিশ এমপিরা। ওয়ালশ ও স্কটিশ আইনপ্রণেতাদের সমর্থিত একটি সংশোধনীর ওপর অনুষ্ঠিত ভোটে জয়লাভ করেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সংখ্যালঘিষ্ঠ সরকার। এ জয়ের ফলে যে কোনো চূড়ান্ত প্রত্যাহার চুক্তির ওপর আইনগতভাবে ভেটো দেয়ার অধিকার পাবে ব্রিটেন। যুক্তরাজ্যের আইনপ্রণেতারা ব্রেক্সিট বিলের শ’খানেক সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। ফলে সামনের দিনগুলোয় এসব সংশোধনীর ওপর আরো আলোচনা প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার ব্রেক্সিট বিলের প্রথম ধারাটি বহাল রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা। এর ফলে ১৯৭২ সালের যে ইউরোপীয় কমিউনিটি অ্যাক্টের অধীনে ব্রিটেন জোটে অন্তর্ভুক্ত হয় সেটি বাতিল করা হচ্ছে। তবে একটি সংশোধনীতে জয় পেলেও অন্যান্য সংশোধনীর ওপর আসন্ন ভোটে সম্ভাব্য পরাজয়ের মুখে পড়তে পারে মে’র সরকার। এর আগে আইনপ্রণেতারা প্রথমবার ইইউ ত্যাগের বিল খুঁটিয়ে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। এ বিলের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের সদস্য পদ সমাপ্ত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনগুলো যুক্তরাজ্যের আইনে স্থানান্তরিত করা হবে। শুরু থেকেই বিলের বিভিন্ন ধারা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয় ব্রিটিশ এমপিদের মধ্যে। এর মধ্যে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের সময় নির্ধারণ নিয়ে এমপিদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। তবে মঙ্গলবার এ বিষয়ের ওপর ভোট অনুষ্ঠিত হয়নি। ব্রেক্সিট বিলে ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ লন্ডনের স্থানীয় সময় রাত ১১টা এবং ব্রাসেলস সময় মধ্যরাতে ইইউ ত্যাগের সময় উল্লেখ রাখতে আগ্রহী ব্রিটিশ সরকার। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপি ফ্রাঙ্ক ফিল্ড প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ইইউ ত্যাগের সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে ২০১৯ সালের ৩০ মার্চের শুরুতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। যদিও প্রয়োজনীয় সমর্থন না পাওয়ায় পরবর্তীতে সেটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এছাড়া টেরিসা মের কনজারভেটিভ পার্টির একাধিক সদস্য বিলে ইইউ ত্যাগের সময় উল্লেখ রাখারই বিরোধিতা করেছেন। তাদের মতে, এ ধরনের কোনো কিছু রাখা হলে তা ইইউর সঙ্গে আলোচনায় সরকারের সুযোগ সীমিত করে তোলার মতো ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এএফপি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ