Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কাতালোনিয়ার মতো ব্যর্থহবে তাইওয়ানও : চীন

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনে কাতালোনিয়ার চেষ্টার ব্যর্থতা তাইওয়ান বিষয়েও একই বার্তা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চীনের এক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা। গতকাল বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যই এখন সব দেশের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। দেশে দেশে স্বাধীনতা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের ক্ষেত্রে চীন এতদিন ধরে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির কথা বলে আসলেও কাতালোনিয়া বিষয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট বলে জানিয়েছে রয়টার্স। বেইজিং বলছে, তারা স্পেনকে খন্ডিত করার যে কোনো চেষ্টার বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার প্রশ্নে আয়োজিত এক গণভোটের সূত্র ধরে গত মাসে কাতালোনিয়ার আঞ্চলিক সরকার স্পেন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘোষণা দিলেও আন্তর্জাতিক সমর্থন না পাওয়ায় তা বাস্তবতার মুখ দেখেনি। ওই গণভোট এবং স্বাধীনতা ঘোষণার প্রত্যুত্তরে মাদ্রিদ কাতালোনিয়ার স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয় এবং আঞ্চলিক সরকারকে বরখাস্ত করে। কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার বিষয়টি তাইওয়ানের মতো হওয়ায় বিষয়টি বেইজিংয়ের জন্যও সংবেদনশীল বলে রয়টার্স জানিয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত ও গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে চীনের অন্তর্নিহিত অংশ বলে দাবি করে আসছে চীন; অন্যদিকে তাইওয়ানের ভেতরে বাড়ছে আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার চাপ। গতকাল বুধবার চীনের তাইওয়ান বিষয়ক নীতি নির্ধারণী দপ্তরের মুখপাত্র মা জিয়াও গুয়াং কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা ব্যর্থ হওয়ায় বেইজিংয়ের সন্তুষ্টির কথা জানান। তিনি বলেন, গণভোটের পরও কাতালোনিয়ার ব্যর্থতায় এটাই প্রতীয়মান হয় যে, জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও আঞ্চলিক অখন্ডতাই এখন পূর্ব-পশ্চিমের সব দেশের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয়। এ কারণেই তাইওয়ানের স্বাধীনতা চেষ্টাও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। গত বছর সাই ইং ওয়েন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দ্বীপটির সঙ্গে চীনের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণায় আগ্রহী বলে ধারণা বেইজিংয়ের। আর সাই বলছেন, তাইওয়ানের গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা রক্ষা করেই তিনি চীনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে চান। স¤প্রতি তাইপের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপ প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করে দ্বীপটির আশপাশে সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে চীন। তাইওয়ানের কূটনৈতিক মিত্রদের ওপর চাপ বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দ্বীপটির পরিসর সঙ্কুচিত করে আনছে দেশটি। চলতি সপ্তাহে জার্মানিতে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিতে পারেননি তাইওয়ানের পরিবেশ মন্ত্রী। চীনের চাপের কারণে বেসরকারি প্রতিনিধি হিসেবেও তাদের মন্ত্রী ওই সম্মেলনে অংশ নিতে পারেনি বলে অভিযোগ তাইওয়ানের। অভিযোগের জবাবে জিয়াওগুয়াং বলেছেন, সম্পর্কের দুর্বলতা ও অযোগ্যতার কারণে তাইওয়ান জলবায়ু বৈঠকের মতো এই ধরণের আয়োজনে অংশ নিতে পারেনি। তাইওয়ানের অন্য কাউকে দায়ী করা উচিত নয়; যেখানে তারা নিজেরাই দোষী। তাদের উচিত এগুলোর ব্যাপারে আরও আন্তরিক হওয়া, বলেন তিনি। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ