মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বলিউডের ভিকি ডোনার ছবিটি অনেকেই দেখেছেন। বোতল ভর্তি শুক্রাণু বিক্রি করে বেশ টাকা কামানো এক যুবককে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় ছবির গল্প। শুধু রূপালী পর্দায়ই নয়, শুক্রাণু দানের চর্চা কিন্তু বাস্তবেও আছে। পশ্চিমে এক সময় চর্চাটা সীমিত ছিল পড়াশুনার ফাঁকে টুপাইস কামানোর চিন্তায় থাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে। কিন্তু শুক্রাণু দানের ব্যবসা এখন বেশ রমরমা! লন্ডনভিত্তিক ম্যাগাজিন ইকোনমিস্টের এক নিবন্ধে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এই ব্যবসার আদ্যোপান্ত। আশির দশকে এইডসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে এই ব্যবসা নিয়ে রাখঢাক দূর হয়। দানকৃত শুক্রাণু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ব্যবস্থাপনার খরচ ও ঝুঁকি দুইই এ সময় বেড়ে যায়। তখন শুক্রাণু দানের ব্যবসা লুফে নেন অনেক উদ্যোক্তা। বøাড ব্যাংকের আদলে গড়ে উঠে শুক্রাণু ব্যাংক! আর আজ দক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো, বিশেষ করে যারা বিদেশেও শুক্রাণু রপ্তানি করতে পারছে, তারা বেশ ভালো অঙ্কের ব্যবসাই করছে। কিন্তু কীভাবে? মূলত, দুটি কারণে উদ্যোক্তারা সুবিধা করতে পেরেছে। আমেরিকান শুক্রাণু ব্যাংকগুলো ব্যবসার ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে। এদের কেউ কেউ দাবি করে, একজন শুক্রাণু দাতা মাসে সর্বোচ্চ ১৫০০ ডলারও আয় করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে ব্যক্তিগত যৌনক্রিয়া থেকে অনেকটাই অনিয়মিত হয়ে যেতে হয় দাতাকে। প্রত্যেক বারের জন্য সাধারণত দাতা ১০০ ডলার পেয়ে থাকেন। প্রতিবার যে পরিমাণ শুক্রাণু পাওয়া যায়, তা ৫টি বোতলে রাখা যায়, যেগুলোর প্রত্যেকটি ৫০০ থেকে ১০০০ ডলারে বিক্রি করা সম্ভব। আর বেশিরভাগ ক্রেতাই একাধিক বোতল কেনেন। দাতা খুঁজে পাওয়া, পরীক্ষা, পুনঃপরীক্ষা, শুক্রাণু সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের খরচ একেবারে কম নয়। তবে সব খরচ বাদ দিয়েও মুনাফা থাকে ঢের। এই ব্যবসায় প্রতিযোগিতাও আছে ব্যপক। ইকোনমিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।