Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

৮৫০ গ্রাম ট্রাফলের দাম ৮৭ হাজার ৫শ’ ডলার

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্লভ খাবারটির নাম ট্রাফল। বিশেষত ছত্রাকজাতীয় এ মাশরুমের একটি জাত হোয়াইট ট্রাফলের মূল্য সর্বাধিক। গ্রিক আর রোমানরা ছিল ট্রাফলের ভক্ত, কিন্তু এটি চাষের অযোগ্য ও দুষ্প্রাপ্য। তাই বরাবরই উচ্চমূল্যের। তার প্রমাণ আবারো মিলল গত রোববার ইতালির এক নিলামে, যেখানে ৮৫০ গ্রাম ট্রাফল বিক্রি হয়েছে ৮৭ হাজার ৫০০ ডলারে। ইতালির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল পিদমন্টের গ্রিনজেন ক্যাভোর ক্যাসেলে অনুষ্ঠিত হওয়া ওয়ার্ল্ড অ্যলবা হোয়াইট ট্রাফলস অকশনে হংকংয়ের একজন ক্রেতা অনলাইনে ৮৫০ গ্রামের এ ট্রাফলের টুকরাটি কিনে নেন। ন্যাশনাল ট্রাফল স্টাডি সেন্টারের ইসাবেলা জিয়ানিকোলো অবশ্য জানান যে, নিলামের এ মূল্য প্রতীকী এবং সেটা বাজারমূল্যের সঙ্গে মেলে না। কারণ এ অর্থ জনকল্যাণমূলক তহবিলে জমা হবে। তিনি জানান, শুষ্ক আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাজারমূল্য গত বছরের প্রতি কিলোগ্রাম ৩ থেকে ৪ হাজার ইউরো থেকে বেড়ে ৬ হাজার ইউরোতে পৌঁছেছে। তবে সা¤প্রতিক খরার কারণে উৎপাদন কমে গেলেও ট্রাফলের গুণগত মান কমেনি বলে তিনি জানান। এ মাশরুমটি ওক গাছের মূলের আশপাশে জন্মায়। এগুলো খুঁজে পেতে প্রয়োজন বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর অথবা শূকর। ট্রাফল শিকারিরা, যাদের ট্রাফেকুলতুর বলা হয়, তারা এসব প্রাণী নিয়ে মাশরুমগুলো খুঁজে বের করেন এবং যেসব জায়গায় ট্রাফল পাওয়া যায়, সেগুলো গোপন রাখেন। হোয়াইট ট্রাফল কেবল আলবা এলাকাতেই খুঁজে পাওয়া যায়, তাও সেটা অক্টোবর আর নভেম্বরে। ২৫ বছর ধরে ট্রাফল উৎপাদন শতকরা ৩০ ভাগ কমে গেছে এবং কিছু কিছু জায়গায় ট্রাফল একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। মদ উৎপাদনের জন্য বেশি বেশি আঙুর চাষও ট্রাফল উৎপাদনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বছরের দীর্ঘ খরার কারণে ইতালির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ খামার চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকদের অ্যাসোসিয়েশন কোলদিরেত্তি জানায়, এতে ২০০ কোটি ইউরো ক্ষতি হয়েছে। ট্রাফল শিকারি পিয়েরকার্লো ভাচিনা জানান, তিনি রকি ও জিমি নামে দুটি কুকুরকে ট্রেনিং দিয়েছেন, তবে গত কয়েক বছরে খরার ধাক্কায় তার ট্রাফল শিকার ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, এখন তিনি আর টাকার জন্য নয়, কেবল আবেগের জায়গা থেকে কাজটি করে যাচ্ছেন। অবস্থা এতটাই খারাপ যে, তিনি কুকুরগুলোর খাবার, চিকিত্সা, বাসস্থান বা অন্যান্য খরচাও জোগাড় করতে পারছেন না। এএফপি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ