পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দক্ষিণ এশিয়াসহ এশিয়ায় বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অস্ত্র বিক্রেতা চীনের অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ বেড়ে চলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন মার্কিন শূন্যস্থান পূরণ করছে। বস্তুত চীন এখন যে অবস্থানে পৌঁছেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে ভারত তার বৃহৎ প্রতিদ্ব›দ্বীর সামরিক মিত্রদের দ¦ারা সম্পূর্ণ ঘেরাও হয়ে পড়েছে।
গত সপ্তাহে ফিলিপাইনের সেনা সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে ফিলিপাইনে চীনের রাষ্টদূত ঝাও জিনহুয়া ম্যানিলাকে ৩ হাজার অ্যাসল্ট রাইফেল দেন। জুন মাসের শেষে চীন ফিলিপাইনকে ৭৩ লাখ ডলারের অস্ত্র দেয়। ফিলিপাইনের পুলিশ ও সেনাবাহিনী মুসলিম জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ও মাদক বিরোধী অভিযানে এসব অস্ত্র ব্যবহার করবে। মাদক বিরোধী অভিযানে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার লোক নিহত হয়েছে।
এ হল হিমশৈলের উপরিভাগ মাত্র। স্টকহোম শান্তি গবেষণা কেন্দ্রের সিমন উইজম্যান অস্ত্রবিক্রয় নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি বলেন, চীন বিশ্বের বৃহত্তম পাঁচ অন্ত্র বিক্রেতার একজন। যুক্তরাষ্ট্র , রাশিয়া ও ফ্রান্সের পরই তার স্থান। ২০১১ ও ২০১৫ সালের মধ্যে চীন ৩৭টি দেশে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করেছে। আর এর ৭৫ শতাংশই রফতানি হয়েছে এশিয়া ও ওশানিয়ায়। এ সব অস্ত্রের সিংহভাগ পেয়েছে পাকিস্তান (৩৫ শতাংশ)। তারপরই রয়েছে বাংলাদেশ (২০ শতাংশ) ও বার্মা (১৬ শতাংশ)।
অতি সম্প্রতি চীন নতুন ক্রেতা পেয়েছে - থাইল্যান্ড। অক্টোবরে থাইল্যান্ড ২৮টি চীনা ট্যাংকের প্রথম চালান লাভ করেছে। তারা সাবমেরিন ও পদাতিক বাহিনীর যান ক্রয়ের আদেশ দিয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে মালয়েশিয়া ২৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার মূল্যে ৪টি টহল জাহাজ কেনে। ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, কম্বোডিয়া ও লাওসও চীনা সামরিক শিল্পের ক্রেতা।
চীনের সামরিক শিল্পের দৃশ্যমান প্রবৃদ্ধি চোখে পড়ে। সিমন উইজম্যান বলেন, এ ক্ষেত্রে বেইজিংয়ের অনুমোদিত বিনিয়োগ ১৯৮৮ সালে ২১ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০১৫ সালে ২১৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে তাদের অস্ত্র এখন আমেরিকা ও রাশিয়ানদের একই কাতারে পড়ে।
অস্ত্রের ক্রেতা খুঁজে পেতে বেইজিংয়ের কোনো সমস্যা নেই। চীনা অস্ত্র কম ব্যয়বহুল এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর অথবা ঋণ সুবিধায় তা কেনা যায়। একটি চীনা ড্রোনের মূল্য ১০ লাখ ডলার যা সমমানের মার্কিন ড্রোনের চেয়ে ৪ ০ুণ কম। কোনো শর্ত ছাড়াই অস্ত্র সরবরাহ করা হয়। ম্যানিলা চীনা অ্যাসল্ট রাইফেল কিনেছে এ জন্য যে মার্কিন কংগ্রেস ফিলিপাইনের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে অস্বীকার করেছে এ আশংকা থেকে যে সেগুলো মানবাধিকার লংঘনের কাজে ব্যবহৃত হবে।
উপরন্তু চীনের অস্ত্র কেনা মানে যুদ্ধের সময় বেইজিংয়ের সমর্থন নিশ্চিতহওয়া। ক‚টনৈতিক ভাবে অত্যন্ত বিচ্ছিন্ন কম্বোডিয়া, লাওস ও বার্মা চীনা অস্ত্র কিনে উল্লেখযোগ্য ভাবে লাভবান হয়েছে। সিঙ্গাপুরের এস. রাজারত্মম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের গবেষক কলিন কোহ বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র এশিয়াকে উপেক্ষা করেছে। কারণ আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধে তারা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এর ফলে যে শূন্যস্থান দেখা দিয়েছে চীন তা পূরণ করেছে।
বেইজিংও লাভ ঘরে তুলছে। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিরোধে চীন তার আঞ্চলিক ভূখন্ডের দাবির প্রতি মিত্রদের সমর্থন চাইছে। এর মধ্যে সবচয়ে লক্ষণীয় সমর্থন এসেছে ফিলপাইনের কাছ থেকে। হেগ-এ আন্তর্জাতিক আদালতে দক্ষিণ চীন সাগরের একগুচ্ছ বিতর্কিত দ্বীরে উপর চীনের দাবির নিন্দা করার পর ফিলিপাইন এখন চীনা উপহারের বিনিময়ে সব কিছু ভুলে যেতে প্রস্তুত।
কোহ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তান, বাংলাদেশ, বার্মা ও শ্রীলংকার কাছে অস্ত্র বিক্রি ভারতের পশ্চাৎভ‚মিতে তার প্রভাব বিস্তারের সুযোগ করে দিয়েছে। ভারত এখন তার প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বীর সামরিক মিত্রদের দ্বারা সম্পূর্ণ ঘেরাও হয়ে পড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।