নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফিরতি লেগের দুটি ম্যাচই হয়েছে গোলশূন্য ড্র। তাতে কি? বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফে প্রথম পর্বের ম্যাচে যে জিতেছিল ক্রেয়েশিয়া ও সুইজারল্যান্ড। ঐ জয়ই যথেষ্ঠ হয়ে থাকলো আগামী বছর রাশিয়ায় অনুষ্ঠেয় ফিফা বিশ্বকপের টিকিট হাতে পেতে। আর তাতে স্বপ্ন চূর হলো ব্রাজিল বিশ্বকাপের শেষ ষোলয় খেলা গ্রীসের। ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলা হলো না উত্তর আয়ারল্যান্ডেরও।
ঘরের মাঠে গ্রীসকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে এক প্রকার বিশ্বকাপের মূলপর্ব নিশ্চিত করেই রেখেছিল ক্রেয়েশিয়া। পরশু এথেন্সে গ্রীসের বিপক্ষে তাই নির্ভার হয়েই মাঠে নামেন ইভান রাকিটিচ-লুকা মড্রিচরা। গোলের খুববেশি সুযোগ কেউই তৈরী করতে পারেনি ঠিকই, তবে স্বাগতিকদের রুখে দিয়ে কাজের কাজটি করেছে সফরকারীরা। দুইদল মিলে এদিন কেবল একটি শট লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল। ৩০ গজ দুর থেকে ইভান পেরিসিচের একটি শট বার কাঁপিয়ে ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধে ক্রোয়েটরা বেশ কয়েক সুযোগ তৈরী করেছিল বটে, কিন্তু এর কোনটাই সাফল্যের মুখ দেখেনি।
এ নিয়ে পঞ্চমবারের মত বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচ শেষে ক্রোয়েট কোচ জøাতকো ডালিচ বলেন, ‘জাগরেবে আমরা ভাল খেলেছিলাম। কিন্তু এখানে খেলাটা কঠিন ছিল। প্রথম লেগে আমরা যদি ১-০ গোলে জিততাম তবে আজকের রাতটা সত্যিকার অর্থেই আমাদের জন্য কষ্টকর হতো। আমাদের দলটি খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। রাশিয়ায় যাওয়াটা আমাদের প্রাপ্য ছিল।’ কিছুদিন আগেই বরখাস্তকৃত কোচ আন্তে ক্যাসিকের জায়গায় নিয়োগ দেয়া হয় ডালিচকে। তবে এখনো তিনি চুক্তিপত্রে সই করেননি।
স্বাধীনতার পর থেকে এ নিয়ে ১২টি মেজর টুর্নামেন্টের ১০টিতেই মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেল বলকান রাষ্ট্রটি। তবে খুশির এই মুহূর্ত মাঠে বসে উপভোগ করার সৌভাগ্য হয়নি ক্রোয়েটদের। ঘরের মাঠেও তারা দেশের নায়কদের মাঠে বসে স্বাগত জানানো থেকে ছিলেন বঞ্চিত। সম্ভব্য সন্ত্রসী হামলার শঙ্কায় দুদলের ফেডারেশন উভয় লেগেই দর্শকদের বয়কটের সিদ্বান্ত নেয়।
একই রাতে বাসেলে উত্তর আয়ারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে এক ধাপ এগিয়ে ছিল সুইজারল্যান্ডও। বেলফাস্টে পরশু এর জবাব দিতে পারেনি মিচেল ও’নিলের দল। ম্যাচের যোগ করা সময়ে গোলের খুব কাছে চলে গিয়েছিল উত্তর আয়ারল্যান্ড। কিন্তু ওয়েস্ট ব্রæম ডিফেন্ডার জনি ইভান্সের হেড গোল লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন সুইস ডিফেন্ডার রিকার্ডো রড্রিগুয়েজ।
ব্যর্থতার দ্বায় খুঁজতে ঘুরেফিরে প্রথম লেগের কথাই বলছেন উত্তর আয়ারল্যান্ড কোচ ও’নিল, ‘আমরা ছিটকে গেছি মূলত প্রথম লেগের একটি বাজে সিদ্ধান্তে। স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু আমাদেরকে ঠেলে ফেলা হয়েছে।’ ও’নিলের ইঙ্গিতটা স্পষ্ট। প্রথম লেগে সুইসদের জয়টি ছিল পেনাল্টি গোল থেকে পাওয়া। ম্যাচ শেষে সেদিনও রেফারির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন ও’নিল।
সুইসদের এসব নিয়ে ভাবতে বয়েই গেছে। দুই বছরেরও বেশি সময় পর ঘরের মাঠে জয়বঞ্চিত হলেও টানা চতুর্থবারের মত বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পাওয়ার আনন্দে তারা বিভোর। তাদের বিশ্বকাপের টিকিট হাতে না পাওয়াটা অবশ্য অঘটনই হত। গ্রæপ পর্বের ১০ ম্যাচে ৯ জয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়েও সরাসরি রাশিয়ার টিকিট হাতে পয়ানি তারা, যে ঘটানা দেখা গেল এবারই প্রথম। এই নিয়ে ২৮ দলের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হল। রইলো বাকি চার।
সুইজারল্যান্ড ০ : ০ উ. আয়ারল্যান্ড
(দুই লেগ মিলে সুইজারল্যান্ড ১-০ ব্যবধানে জয়ী)
গ্রীস ০ : ০ ক্রেয়েশিয়া
(দুই লেগ মিলে ক্রেয়েশিয়া ৪-১ ব্যবধানে জয়ী)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।