নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শেষ ১০ ওভারে ১০২ রান, যার ৬৯ রানই আসে শেষ ৫ ওভারে। ক্রিজে ঝড় তোলেন আরিফুল হক ও কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। তাদের এই শেষের ঝড়টাই গড়ে দিল পার্থক্য। খুলনা টাইটান্সের বড় সংগ্রহের নাগাল পেল না চিটাগং ভাইকিংস। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে চিটাগংকে ১৮ রানে হারিয়েছে খুলনা। ১৭০ রানের জবাবে মিসবাহ-উল-হকের দল করে ১৫২ রান। ইনিংসের কোনো পর্যায়ে তেমন ঝড় তুলতে পারেনি চিটাগং। বিশাল রান তাড়ায় তারা অনেকটা নির্ভর করেছিল টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের দিকে। সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন তারাই। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে দলের জয়ে বড় অবদান রাখলেন তরুণ পেসার আবু জায়েদ। দিনশেষে তৃতীয় ম্যাচে খুলনার এটি দ্বিতীয় জয়, সমানসংখ্যক ম্যাচে দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেলো চিটাগং। ম্যাচের সারাংশ বলতে এটুকুই।
মিরপুরে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনা মাত্র ২৯ রানের মধ্যেই হারিয়ে বসে তিন টপঅর্ডারকে। কেউই দু’অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। শুরুর ধাক্কাটা সামাল দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রিলে রুশো ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৩৯ রান যোগ করেন তারা। সেই ধারাবাহিকতায় যেন নিজেদের উজ্জ্বীবিত করে ছয় ও সাত নম্বরে নামা আরিফুল ও ব্রাথওয়েট। দুজনে মারমুখী মেজাজে ২১ বলে দলকে এনে দেন ৫৫ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস। আরিফুল ১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ২৫ বলে করেন ৪০, ব্র্যাথওয়েটের ১৪ বলে ৩০ রানের ইনিংসটি ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় মোড়ানো। এছাড়া রুশো ২৬ বলে ২৫, মাহমুুদউল্লাহ ৩৩ বলে ৪০ ও আর্চার ৪ বলে ১১ রান করেন। চিটাগং-এর তাসকিন আহমেদ ৪৩ রানে ৩ নেন উইকেট।
১৭১ রানের লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে শুরুতেই বেকায়দায় পড়ে যায় চিটাগংও। প্রথম ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। খুলনার পেসার আবু জায়েদ প্রথম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্র্থ বলে বিদায় নেন চিটাগং-এর নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড় লুক রঞ্চি ও সৌম্য সরকারকে। রঞ্চি ২ রানে ফিরলেও, শূন্য হাতে ফিরতে হয় সৌম্যকে। এরপর ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেছেন এনামুল হক ও দিলশান মুনাবীরা। কিন্তু ভালো কিছু করতে পারেননি তারা। ৩৮ রানের মধ্যে বিদায় নেন তারা। আনামুল ১৮ ও মুনাবেরা ১০ রান করে ফিরেন। এতে চাপ বেড়ে যায় চিটাগং-এর।
চাপে পড়ে যাওয়া চিটাগংকে খেলায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে গিয়ে আস্কিং রেট বাড়িয়ে ফেলেন অধিনায়ক পাকিস্তানের মিসবাহ উল হক ও জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা। কারন পঞ্চম উইকেটে ৫১ বলে ৫৯ রান যোগ করেন তারা। ১০ রানের ব্যবধানে দু’জনই বিদায় নিলে ম্যাচ হার নিশ্চিত হয়ে যায় চিটাগং-এর। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৫২ রান করতে পারে তারা। মিসবাহ ৩৭ বলে ৩০, রাজা ২৭ বলে ৩৭, লুইস রিসি ২২ রান করেন। ৪টি উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান খুলনার আবু জায়েদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
খুলনা টাইটান্স : ২০ ওভারে ১৭০/৭ (ওয়ালটন ৫, শান্ত ৯, ক্লিঙ্গার ২, রুশো ২৫, মাহমুদউল্লাহ ৪০, আরিফুল ৪০, ব্র্যাথওয়েট ৩০, আর্চার ১১*; সানজামুল ২/২০, রাজা ০/১৭, মুনাবিরা ১/১৬, শুভাশিস ১/২১, তাসকিন ৩/৪৩, তানবীর ০/৪৪, রিস ০/৯)
চিটাগং ভাইকিংস : ২০ ওভারে ১৫২/৭ (রনকি ২, সৌম্য ০, এনামুল ১৮, মুনাবিরা ১০, মিসবাহ ৩০, রাজা ৩৭, রিস ২২, তানবীর ১৪*, সানজামুল ৫*; জায়েদ ৪/৩৫, আর্চার ১/৩০, শফিউল ১/২৪, ব্র্যাথওয়েট ১/২৯, মোশাররফ ০/২২, মাহমুদউল্লাহ ০/৬)
ফল : খুলনা টাইটান্স ১৮ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : আবু জায়েদ রাহী (খুলনা)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।