পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পদত্যাগ করায় বিচার বিভাগ ভারমুক্ত হল বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, বিচার বিভাগ ভারমুক্ত হলো। বিচার বিভাগের কেউ যদি কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকেন, চরিত্র স্খলনের সঙ্গে জড়িত থাকেন, কোনোভাবেই তার বিচার বিভাগে থাকা উচিৎ নয়। তার মতে, পদত্যাগ করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। কারণ, অন্য বিচারপতিরা যদি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে না বসতে চান, তাহলে তার অন্য কোনো পথ থাকে না। গতকাল রোববার নিজ কার্যালয়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবে আলম বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম, আপিল বিভাগ বলতে শুধু প্রধান বিচারপতিকে বোঝায় না। প্রধান বিচারপতিসহ সব ক’জন বিচারপতিকে বোঝায়। যেদিন অন্য বিচারপতিরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে একত্রে বসে মামলার নিষ্পত্তিতে অনীহা প্রকাশ করলেন এবং রাজি হলেন না, সেদিনই বিষয়টির ফয়সালা হয়ে গেছে। সেদিনই কিন্তু আমি বলেছিলাম, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলেছিলাম, ফিরে এসে প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়া তার জন্য সুদূরপরাহত।
১১টি অভিযোগের মুখে থাকা ব্যক্তিকে দেশের বাইরে থেকে পদত্যাগের সুযোগ করে দেয়ার মধ্যে কোনো গাফিলতি আছে কি-না- এমন প্রশ্নে মাহবুবে আলম বলেন, সরকারের কোনো গাফিলতি নেই। একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে এবং সবচেয়ে বড় কথা, তিনি প্রধান বিচারপতি। তার বিরুদ্ধে তো সাধারণ আদালতে গিয়ে মামলা করা যায় না। এগুলো প্রেসিডেন্ট গোচরে গেছে, প্রেসিডেন্ট তার অন্য বিচারপতিদের জানিয়েছেন। অন্য বিচারপতিরা তার সঙ্গে বসতে রাজি হননি। এটিই হলো বাস্তব। আমাদের সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে কোনোদিন এ ঘটনা ঘটেনি যে, সুপ্রিম কোর্ট থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। অথচ, তার সঙ্গে না বসার কারণ দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে এখন যারা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ নিয়ে নানা রকম বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন এবং নানা রকম বক্তব্য দিচ্ছেন, সেগুলো অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয় এবং শুধুমাত্র রাজনীতির খাতিরে।
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগে কোনো সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে কি না-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কোনো রকম শূন্যতা নাই। যেসব রায় উনি দিয়েছেন সেগুলোর কী হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রায় তো উনি একা দেননি। আমি সে কথাই বারবার বলছি, আমাদের বিচার বিভাগে এককভাবে কোনো বিচারপতি বিচার করেন না, আপিল বিভাগে বিশেষ করে। বিচার যেগুলো করা হয়েছে, অন্য বিচারপতিরাও উনার সঙ্গে ছিলেন। সুতরাং বিচারে যেগুলোর রায় হয়েছে, সেসব রায়ে কোনো প্রভাবই পড়বে না এবং রায়ের কার্যকারিতাও কোনোরকম ক্ষুন্ন হবে না।
ষোড়শ সংশোধনীর রায় বাতিলের রিভিউ প্রক্রিয়া কী হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন? সেটার প্রক্রিয়া চলছে, সেটা হবে। নিয়মটা হলো যে কয়জন বিচারপতি একটি রায় দিয়েছেন, রিভিউ করতে হলে তত সংখ্যক বিচারপতি লাগে বা তার থেকে একজন বা দুজন বেশি লাগে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।