পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুনামগঞ্জের মাঠে মাঠে এখন সোনালী ধান। যে দিকে চোখ যায় শুধু ধান আর ধান।অধিকাংশ উপজেলার মাঠে মাঠে কাচা আধাপাকা ধান। আর মাত্র কয়েকদিন। শুরু হবে ধান কাটা। কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়বে ধান কাটায়। ঘরে ঘরে দেখা দিবে নবান্ন উৎসব ও আনন্দ। এবার ধানের ফলনও আশানুরূপ। সংশ্লিষ্টদের মতে সময়ে সময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় রোপা আমন ফলন খুব ভাল হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। এ অঞ্চলের কৃষকরা আশা করছেন এবার আমন ধান ঘরে তুলবেন। গেল মৌসুমের বোর ধান না পাওয়ার বেদনার শান্তনা খুজে পাবেন এবার রোপা আমন ঘরে তুলে। কৃষকরা ধান ঘরে তোলার অপেক্ষায় দিন গুনছেন। ইতোমধ্যে ধান মাড়াই ও শুকানোর খলা প্রস্তুত করেছেন।
এবার রোপা আমন ধান ফলানোর শুরুতেই চাষাবাদ নিয়ে দেখা দেয় বিপত্তি। শুরু হয় অবিরাম বৃষ্টিপাত। দেখা দেয় বন্যা। পিছিয়ে যায় ধান রোপন। রোপনের পরও বার বার বন্যায় আঘাত করেছে। বপণের পর তলিয়েছে ধানের ছাড়া। কয়েক দফা ক্ষতি করেছে বন্যায়। তারপরও কৃষকরা পিছু ছাড়েননি। অনেক চেষ্টা ও ধৈর্য্য ধারণ করে এবার রোপা আমন ধান ফলিয়েছেন। অনেক অনিশ্চয়তার পর সুনামগঞ্জের কৃষকরা রোপা আমন ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছেন। এ জেলার কৃষকরা গেল বোর ফসল হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রায় ৩ লক্ষাধিক কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সব নিয়ে গেছে ঢলের পানিতে। কৃষকরা হয়েছে স্বর্বসান্ত। তবুও মৌসুম চলে অসায় ধারকর্জ করে আবার চাষাবাদ করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন কৃষকরা। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের ইনাতনগর গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, এবার রোপা আমন ধান ফলনের কোন নিশ্চয়তা ছিল না, কারণ বার বার বন্যায় আঘাত করেছে। তাতে মনে হয়েছিল বোর গেছে এবার আমনও যাবে। শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়েছে। বার বার বৃষ্টি হওয়ায় ধানের ফলন খুব ভাল হয়েছে। একই উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের সমুজ আলী বলেন এবার রোপা আমন ধানের খুব ভাল ফলন হয়েছে।
স্থানীয় কৃষিবিভাগের কর্মকর্তরা বলেন, এবার বেশী বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকদের জন্য আশির্বাদ হয়েছে। তাদের মতে সময়ে সময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবার ধানের ফলনও আশানুরূপ হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার রোপা আমন ফলন ভাল হয়েছে। গত বোর মৌসুমে জেলার সকল কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হওযায় এবার রোপা আমন ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ জাহেদুল হক ইনকিলাবকে বলেন, এবার রোপা আমন ফলন ভাল হয়েছে। তিনি বলেন আমি দোয়ারা বাজার উপজেলার আমবাড়ী এলাকার মাঠের রোপা আমন ফলন দেখেছি। ফলন দেখলে মন ভরে যায়। জেলায় এবার রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬১ হাজার ৬শ’ ৯৪ হেক্টর। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ হাজার ২শ’ ৭৬ হেক্টর বেশি চাষাবাদ করা হয়েছে। মোট ৭৪ হাজার ৯শ’ ৭০ হেক্টর চাষাবাদ করা হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৮শ’ ৩৬ মেট্রিক টন চাল। উপ পরিচালক জাহেদুল হক বলেন জেলার সব মাঠেই রোপা আমন ফলন ভাল হয়েছে, কারন এবার ধানগাছ চাহিদা অনুসারে বৃষ্টি পেয়েছে। বার বার বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকদের রোপা আমন ফসল শুরু থেকেই ধান গাছ সতেজ হয়ে উঠেছে। যার ফলে কৃষকরা এখন ভাল ফলন দেখতে পাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।