পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের ৫৫ লাখ ৭৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি ৪৮ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ৮০ ভাগ জমিতে রোপন সম্পন্ন হয়েছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় সীমান্তের ওপারের নদ-নদীর ঢলে ফসল প্লাবিত হলেও খুব সহসাই সঙ্কট কেটে যাবে। তবে সামনে ভাদ্রের বড় অমাবশ্যা নিয়ে কৃষকদের মাঝে যথেষ্ট দুঃশ্চিন্তা কাজ করছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) মতে, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট অঞ্চলের ১১টি জেলার প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল প্লাবিত হলেও এর মধ্যে আমনের পরিমাণ সাড়ে ৫ হাজার হেক্টরের মত।
তবে বরিশাল কৃষি অঞ্চলের কয়েকটি এলাকাসহ ফরিদপুর, রাজবাাড়ী ও শরীয়তপুরের কিছু ফসলী জমি পদ্মা-মেঘনার আকষ্মিক প্লাবনে নিমজ্জিত হলেও ইতোমধ্যে পানি সরে যেতেও শুরু করেছে। অন্যান্য জেলাগুলোও দ্রæত প্লাবনমুক্ত হবে বলে আশাবাদী ডিএই। দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি জেলায় যে ৭ লাখ ২৮ হাজার হেক্টরে আমন আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তাও সঠিকভাবেই এগুচ্ছে। ভাটির এলাকা বিধায় বরিশাল কৃষি অঞ্চলের দক্ষিণের ৬টি জেলায় ইতোমধ্যে প্রায় ৫০% এবং বৃহত্তর ফরিদপুরের ৯৮% জমিতে আমন রোপন সম্পন্ন হয়েছে। চলতি খরিপ-২ মৌসুমে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ৭ লাখ ১৩ হাজার ৯৮৫ হেক্টরে আমনের আবাদ হচ্ছে। উৎপাদন লক্ষ্য রয়েছে ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৭ টন চাল। বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫টি জেলাতেও ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫ হেক্টরের মধ্যে ৯২%, ১ লাখ ৪২ হাজার ৭শ’ হেক্টরে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে।
তবে এবার শ্রাবণের ভরা বর্ষার শুরুতে দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির অভাবে দেশের অন্যতম প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল, আমনের বীজতলা তৈরিসহ রোপন ব্যহত হয়। এমনকি অনেক এলাকায় ভরা বর্ষায়ও জমিতে সেচ দিতে হয়েছে। আমন বীজতলা তৈরি, আবাদ ও রোপন পরবর্তী জীবনকাল ধরে রাখতে কৃষকদের বেশ পরিশ্রম করতে হলেও পরে সে সমস্যা কেটে যায়। কিন্তু এখন সীমান্তের ওপরের ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় কিছু এলাকায় রোপা আমন প্লাবিত হলেও খুব বড় সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। ডিএই’র মতে, গতকাল পর্যন্ত দেশের ১১টি জেলার প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হলেও তার মধ্যে রোপা আমনের পরিমাণ ছিল মাত্র ৫ হাজার ১৪৭ হেক্টর।
তবে সামনে ভাদ্রের বড় অমাবশ্যায় যদি গত কয়েক বছরের মত ভারি বর্ষণ হয়, তবে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আমনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় আছেন কৃষকরা। গতবছর ভাদ্রের প্রবল বর্ষণের সাথে ফুঁসে ওঠা সাগরের জোয়ার আর উজানের ঢলে দক্ষিণাঞ্চলের বিপুল ফসলী জমি প্লাবিত হয়ে প্রায় দেড় লাখ টন চাল উৎপাদন হ্রাস পায়। গত বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি বাদে দেশে ৫৩ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯৮ হেক্টরে ১ কোটি ৪১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪৩ টন আমন চাল উৎপাদন হয়। যার মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলায় ৬ লাখ ৫৪ হাজার ২৫০ হেক্টরে উৎপাদন দাঁড়ায় প্রায় ১৩ লাখ ৯৭ হজার টন। যা ছিল লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দেড় লাখ টন কম।
এদিকে এবার দেশে ২ লাখ ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের আমন আবাদ হচ্ছে বলে ডিএই জানিয়েছে। যার হেক্টর প্রতি ফলন প্রায় ৩.৭২ টন চাল। তবে দক্ষিণাঞ্চলে এখনো হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল-উফশী জাতের আমন আবাদে কাঙ্খিত অগ্রগিত হয়নি। দক্ষিণাঞ্চলে মাত্র ৪৩৫ হেক্টরে হাইব্রিড জাতের আমন আবাদ হচ্ছে। অথচ দেশে স্থানীয় সনাতন জাতের যে ধানের আবাদ হচ্ছে ৮ লাখ হেক্টরে, শুধু দক্ষিণাঞ্চলেই এককভাবে তার আবাদ হচ্ছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৭৫০ হেক্টরে। এসব ধানের উৎপাদন হেক্টর প্রতি মাত্র ১.৫২ টন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।