পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অতি বৃষ্টিতে বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। পোকা মাকড়ের উপদ্রবও ছিল। বরাবরের মতো এবারও ছিল ভালো বীজের সঙ্কট। সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে খুলনার আবাদি জমিগুলোতে এখন বাতাসে রোপা আমনের শীষ দোল খাচ্ছে। হাঁসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। কৃষকের অপেক্ষা আমন ঘরে তোলার। আবার উৎকন্ঠাও রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে।
দক্ষিণাঞ্চলে বছরের এ সময়টা একাধিক ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ, জলোচ্ছ্বাস হয়। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ দেখা না দিলে, এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছে কৃষক ও কৃষি বিভাগ। এ মাসের মাঝামাঝি আমন কর্তন শুরু হবে। মাঠের ধান ইতোমধ্যে পেকে গিয়েছে। পাকা ধানের শীষ বাতাসে নুয়ে পড়ছে।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, গেল বছর খুলনায় ৯২ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ করা হয়েছিল। এবার ৯৩ হাজার ৩১৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯২ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন। খুলনা জেলার রূপসায় ৩ হাজার ৮৯০ হেক্টর, বটিয়াঘাটায় ১৭ হাজার ৬০০ হেক্টর, দিঘলিয়ায় ১ হাজার ৯২০ হেক্টর, ডুমুরিয়ায় ১৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর, পাইকগাছায় ১৭ হাজার ২৫৩ হেক্টর, তেরখাদায় ৯০৫ হেক্টর, দাকোপে ১৯ হাজার ১৩৫ হেক্টর, কয়রায় ১৪ হাজার ৭২০ হেক্টর, ফুলতলায় ১ হাজার ৪৩০ হেক্টর, দৌলতপুরে ৬৭ হেক্টর ও লবণচরায় ২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ করা হয়েছে।
কৃষি অধিদফতর খুলনার পরিচালক হাফিজুর রহমান জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি না হয়, তাহলে খুলনায় রোপা আমন আবাদে কাক্সিক্ষত ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। জুলাইয়ের শেষে টানা চার দিনের বৃষ্টিতে এক হাজার ৮১৫ হেক্টর জমির আমন ধানের বীজতলা ডুবে গিয়েছিল। পরবর্তীতে কৃষকরা সে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠে। এবার রোগ বালাই তেমন একটা নেই। কিছুটা পোকা মাকড়ের উপদ্রব আছে।
রূপসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুজ্জামান জানান, আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে রোপা আমন আবাদে বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে। পোকাণ্ডমাকড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আলোর ফাঁদ ব্যবহারের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
রূপসার নৈহাটী ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের চাষি মো. ওমর আলী শেখ জানান, আমনের ভাল ফলন আশা করছি। ফসলকে রোগ থেকে বাঁচাতে বালাইনাশক দেয়া হয়েছে। পোকামাকড় ঠেকাতে কীটনাশকের পরিবর্তে আলোর ফাঁদ ব্যবহার করা হচ্ছে। কার্তিক-অগ্রহায়ণ ধান কাটা শুরু হবে। খরচ বাদে এবার আমনে বেশ লাভ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।