পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া আরকানের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে এবং বিভিন্ন কৌশলে তাদের ধর্মান্তরের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করে রোহিঙ্গা নিয়ে যে কোন ধরণের সড়যন্ত্র ও তাদের ধর্মান্তর ঠেকানোর আহবান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম। গতকাল কক্সবাজারে এক মতবিনিময় সভায় এই আহবান জানানো হয়।
মজলুম রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে ওলামায়েকেরামের উদ্যোগে মানবিক সহায়তা ও বুনিয়াদী শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা, সমন্বয় ও তদারকির লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণে শীর্ষস্থানীয় ও প্রতিনিধিত্বশীল ওলামায়েকেরামের উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র রামু চাকমারকুল জামেয়া দারুল উলূম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জামিয়া দারুল মা’আরিফ আল ইসলামিয়ার উপাধ্যক্ষ আল্লামা ফুরকানুল্লাহ খলিল।
সভায় বিশেষ মেহমান ছিলেন জামিয়া আহলিয়া মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা.বা.) এর প্রতিনিধি ও সুযোগ্য সন্তান মাওলানা আনাস মাদানী, হাটহাজারী মাদ্রাসার ক্বেরাত বিভাগীয় প্রধান মাওলানা ক্বারী জহিরুল হক, মুহাদ্দিস মাওলানা নুরুল ইসলাম সাদেক, জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার প্রতিনিধি মাওলানা মুফতি বুরহান উদ্দীন, জামিয়া দারুল মা’আরিফ আল ইসলামিয়ার সহকারী পরিচালক মাওলানা ড. জসিম উদ্দীন নদভী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গারা দীর্ঘকাল যাবৎ বিরূপ পরিবেশ ও বৈরী শাসনে শাসিত ও শোষিত হওয়ায় তাদের মানবিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশ বাঁধাগ্রস্থ হয়েছে। তাই তাদের ঈমান-আক্বিদার হেফাজত, মানবিক ও সামাজিক গুণাবলীর বিকাশ সাধনে ধর্মীয় শিক্ষা ও অনুশাসনের প্রতি যতœবান করে তুলতে হবে। তবে কোন স্বার্থান্বেষী মহল যাতে দারিদ্রতা ও ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে ধর্মান্তরকরণ, ভ্রান্ত মতবাদ ও উগ্রতার দিকে ধাবিত করতে না পারে সেজন্য শরণার্থী ক্যাম্পে মসজিদ, মক্তব ও ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে দেশের বরেণ্য ওলামায়েকেরামের তত্ত¡াবধান ও সমন্বয়ে এমন একটি সংগঠন গড়ে তোলা প্রয়োজন যেটি উপরোক্ত লক্ষ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সাথে যোগাযোগ, সমন্বয় ও অনুমোদনক্রমে কাজ করবে।
এমন প্রয়োজনীয়তা থেকে উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে ‘বাংলাদেশ মানবিক সহায়তা সমন্বয় পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং এর লক্ষ্য বাস্তবায়নে কমিটি গঠন করা হয়। দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমেদ্বীন, জামিয়া আহলিয়া মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা.বা.) কে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি উপদেষ্টা পরিষদ এবং কক্সবাজারের বরেণ্য আলেম মাওলানা মুহাম্মদ মুসলিমকে সভাপতি, মাওলানা হাফেজ ছালামতুল্লাহকে সাধারণ সম্পাদক, মাওলানা মোহাম্মদ আলীকে অর্থ সম্পাদক করে একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদে আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী, আল্লাম মুফতি আবদুল হালিম বোখারীসহ দেশের শীর্ষ ওলামা-মশায়েখগণ রয়েছেন। কার্যকরী কমিটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্যরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন হাবিব (কক্সবাজার), সহ-সভাপতি মাওলানা মুফতি বখতিয়ার (ঢাকা), মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী (ঢাকা), মাওলানা আবদুল গফফার (সিলেট), মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া (ঢাকা), মাওলানা সিরাজুল ইসলাম (চাকমারকুল মাদ্রাসা), যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ মোহছেন শরীফ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ মুবিনুল হক (কক্সবাজার)।
দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি ত্রাণ সহায়তা, মানবিক সেবা ও শিক্ষা কার্যক্রমে সহযোগিতায় আগ্রহী ওলামায়েকেরাম, সংস্থা, সংগঠনের প্রতিনিধি ও দ্বীনদার মানবতাবাদী ব্যক্তিবর্গকে এ পরিষদের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় করার জন্য উদাত্ত আহŸান জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।