পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সমাবেশে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুদুয়ারা নানক শাহীতে নানক শাহীর ৫৪৮ তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বিএনপির প্রতি এ হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হলে সরকার সহযোগিতা করবে। তবে কোনও ধরণের বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করলে সরকারের আইন-শৃঙ্খলাকারী বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে থাকা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগপত্র প্রেসিডেন্টের কাছে পৌঁছেছে কিনা- এমন জিজ্ঞাসার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র আসার আগে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না, তিনি (এস কে সিনহা) পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন কিনা। আমি যতটা জানি এখনও পৌঁছায়নি। যখন পৌঁছাবে তখন আকাশে চাঁদ ওঠার মতো জানতে পারবেন।
বাংলাদেশের শিখ ধর্মাবলম্বীদের পাশে সরকার সবসময় আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আশ্বাস দিচ্ছি, গুরু নানক শাহীর ভক্ত যারা বাংলাদেশে বসবাস করছেন, বাংলাদেশ সরকার তাদের পাশে থাকবে। এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজ রবিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় থেকে অনুমতিপত্র গ্রহণ করেন। প্রতি বছর বিএনপি ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে। এ বছর নানা কারণে সমাবেশ করতে দেরি হয়েছে। সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
গাজীপুরের বিশাল জনসভায় ওবায়দুল কাদের
বিএনপির আন্দোলনের ডাক
দুরাশায় পরিণত হয়েছে
মোঃ দেলোয়ার হোসেন, গাজীপুর থেকে জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের ডাক দুরাশায় পরিণত হয়েছে। বিএনপি গত সাড়ে আট বছরে সাড়ে আট দিনও মাঠে নামতে পারেনি। ৫০০ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি এখনো পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি। বিএনপি এখন নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। নেতাকর্মীদের আন্দোলনে ডাক দিয়ে নেতারা এয়ারকন্ডিশন রুমে হিন্দি সিরিয়াল দেখেন আর মোবাইলে খবর নেন পুলিশের গতিবিধি। বিএনপির ডাকে আন্দোলনের মরা গাঙ্গে জোয়ার আসবে না। তুরাগ ও বালু নদীতে যেমন জোয়ার নেই তেমন বিএনপির আন্দোলনেও জোয়ার নেই।
ওবায়দুল কাদের গতকাল শনিবার বিকালে গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে গাজীপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম-এর উদ্বোধন উপলক্ষে এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় জনসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সিমিন হোসেন রিমি এমপি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এসএম মোকছেদ আলম, কাজী ইলিয়াস, কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন, অ্যাডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, জেলা যুবলীগ আহবায়ক এসএম আলতাব হোসেন, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল, যুবলীগ নেতা সেলিম আজাদ, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম দীপ প্রমুখ।
বিএনপি’কে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের গণতান্ত্রিক উদার আচরনকে দুর্বলতা বলে ভাববেন না। বিএনপির ক্ষমতায় আশা মানে আগুন সন্ত্রাস, লুটপাট, আবারো জঙ্গিবাদের প্রবল উত্থান। বিএনপি নেত্রী আন্দোলনের ডাক দিয়ে টেমস নদীর পারে সাড়ে তিন মাস কাটিয়ে এলেন। বিদেশে বসে আন্দোলনে ডাকে সফলতা আসে না। বিএনপি নেতারা ঘরে বসে মিথ্যাচারের ভাঙ্গা রেকর্ড বাজান। আন্দোলনের ডাক দিতে গিয়ে বলেন এ বছর না পরের বছর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন প্রধান বিচারপতিকে আমরা বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছি। প্রধান বিচারপতি সিঙ্গাপুর থেকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। তাহলে কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে ফোর্স পাঠিয়েছেন। আপিল বিভাগের বিচারপতিরা প্রেসিডেন্টকে বলেছেন তারা প্রধান বিচারপতির সাথে একই বেঞ্চে বসবেন না। এখানে সরকারের কি দোষ ?
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আজ জনগণের বিশ্বাসের ঠিকানা, তিনি যা ওয়াদা করেন সবগুলি রক্ষা করেন। চিহ্নিত কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। শেখ হাসিনা সার্টিফিকেট ও সকল কাগজপত্রে পিতার নামের সাথে মায়ের নাম লেখার নিয়ম করেছেন। নারীরা এখন সচিব, এয়ারফোর্সের পাইলট, সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল হচ্ছেন। নারীদের উপেক্ষা করে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো না। উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে হলে নারীদের গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন নৌকায় ভাসিয়া ভোট দিবেন হাসিয়া।
পরে মন্ত্রী অনুষ্ঠান মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, সিমিন হোসেন রিমি এমপি, জাহিদ আহসান রালে এমপি, ইকবাল হোসেন সবুজ, জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগের সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।