পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এবার নাফ নদ অতিক্রম করতে দুঃসাহসিক হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গারা। গত কয়েকদিন ধরে প্লাষ্টিক, বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ভেলা তৈরী করে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে এপারে আসছে রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশু। নাফ নদীর পাশাপাশি ফের সাগরপথেও ঝুঁকি নিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। কোন ভাবেই থামছেই না রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ। একশ্রেনীর দেশীয় দালালরা ফিশিং বোট করে এসব রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসছে। এছাড়া নৌকা না পেয়ে ও বোট ভাড়া না থাকায় অনেকে ভেলা ভাসিয়ে এপারে এসেছে। সাবরাংয়ের নয়াপাড়ার নাফ নদী সীমান্তে পয়েন্ট দিয়ে গতকাল (শনিবার) বিকালে ২টি রোহিঙ্গা বোঝাই ভেলা ভিড়েছে। দুটি ভেলায় ৮৮ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। গত বুধবার একটি ভেলায় ৫২ জন, বৃহস্পতিবার ৩টি ভেলায় ১৩০ জন ও শুক্রবার ১০টি ভেলায় ৫৪৪ জন রোহিঙ্গা এপারে এসেছিল। এছাড়াও প্লাস্টিকের জার নিয়ে নাফ নদ সাঁতরিয়ে প্রায় ৩৫ জন রোহিঙ্গা যুবক আসেন। এসব দুঃসাহসিক রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, তাদের কাছে নৌকা ভাড়ার প্রয়োজনীয় অর্থ নেই এবং রাখাইনের ধংখালী বালুচরে রোহিঙ্গারা এপারে আসতে জড়ো হয়ে আছে। সেখানে দুর্ভোগ ও নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ায় খবর পৌঁছাতে এভাবে চলে আসে।
এদিকে জানা গেছে, উখিয়া- টেকনাফে বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে দেড় হাজারের অধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে।
গতকাল (শনিবার) বিকাল ৩টার দিকে দুটি ভেলায় ৮০ জন ও ভোর রাত থেকে পালংখালীর আন্জুমান সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে এক হাজার ও টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আরো ৫শ’র বেশি রোহিঙ্গা নৌকায় এপারে ঢুকেছে। মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে শাহপরীর দ্বীপের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে দলে দলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকলেও গতকাল কমেছে বলে জানিয়েছেন আইওএম এর গণনাকারী কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন। তিনি আরো বলেন, সকাল থেকে ২০ জনের মতো রোহিঙ্গাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে রুট পরিবর্তন করে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়া সাগর পয়েন্ট দিয়ে ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। পালংখালী ইউনিয়নের মেম্বার সোলতান আহমদ জানান, রাতের বেলায় এক হাজারের মতো রোহিঙ্গা নাফ নদের আনজুমান সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে এপারে ঢুকেছে।
সাবরাং নয়াপাড়া বিজিবি বিওপির কোম্পানী কমান্ডার আতিকুর রহমান জানান, অনুপ্রবেশকৃত এসব রোহিঙ্গাদের তল্লাশী শেষে বিভিন্ন ক্যাম্পে পাঠানোর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সূত্র : বাংলার চোখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।