Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার দেশগুলো জানতে চায়

কোথা থেকে আসবে দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জার্মানির বন শহরে চলছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন। এ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার দেশগুলো জানতে চাইছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার অর্থ কোথা থেকে আসবে। বেশ কয়েকটি দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী না হলেও এর কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অতিবৃষ্টি, সাইক্লোন, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরাসহ বিভিন্ন দুর্যোগের মুখে পড়ছে দেশগুলো। প্রতিটি দুর্যোগের পর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রতিটি দেশকে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার দেশগুলোর প্রশ্ন হচ্ছে, শিল্পোন্নত দেশগুলো যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মূলত দায়ী, তাই তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। এই লক্ষ্যে ২০১৩ সালে জাতিসংঘের উদ্যোগে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ› নামে একটি ব্যবস্থা গড়ে উঠে। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ শিল্পোন্নত দেশগুলো এর বিরোধিতা করে আসছে। কারণ এতে সমর্থন দিলে ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে এই আশংকায় আছে দেশগুলো। অ্যাকশন এইড ইন্টারন্যাশনালের গেøাবাল হেড অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বলেন, ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজের জন্য এখনও কোনও তহবিল নেইÑ এটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ।’ দুর্যোগের পর ব্যয় মেটাতে উন্নত দেশগুলো দরিদ্র দেশগুলোকে বিমা সহায়তা নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এতে করে দুর্যোগের পরপরই প্রাথমিক খরচ মেটানো সহজ হবে বলে মনে করছে উন্নত দেশগুলো। জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, ‘ক্ষতির পুরোটা বিমা দিয়ে পোষানো যাবে না। তবে বিমার টাকা দিয়ে পুনর্গঠন কাজ শুরুর আগে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারে দেশগুলো। কারণ বিমার টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়াটা দ্রæত। দাতাদের উপর বসে থাতে হয় না।’ তবে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, ভর্তুকি না দিলে দরিদ্র দেশের পক্ষে বিমার প্রিমিয়ামের টাকা দেওয়া সম্ভব হবে না। তাছাড়া দুর্যোগের কারণে যে অনেক সময় পারিবারিক ছবি নষ্ট ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধ্বংস হয়ে যায়, সেসবের ক্ষতি অর্থ দিয়ে মেটানো সম্ভব নয়। তাছাড়া যেসব দুর্যোগ অনেকদিন ধরে ঘটে, যেমন খরা, তার ক্ষতিপূরণ বিমার আওতায় পড়বে না। এদিকে বিমা ছাড়াও ক্ষতিপূরণের উৎস হিসেবে আরও কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। যেমন- জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানি, এয়ারলাইন্স ও শিপিং কোম্পানির উপর কর নির্ধারণ; বৈশ্বিক কার্বন কর এবং আর্থিক লেনদেনের উপর কর বসানো ইত্যাদি। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বেশিরভাগ দেশের সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে বনের জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেওয়া উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিনিধিরা ২০২০ সালের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু করতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহŸান জানাচ্ছেন। ডয়চে ভেলে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ