পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার কতটা গণতান্ত্রিক সেটা বিএনপির সমাবেশের অনুমতি দিয়ে আবারো প্রমাণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর জিরো পয়েন্টের নূর হোসেন চত্বরে ‘শহীদ নূর হোসেন’ দিবসে আওয়ামী লীগের পক্ষে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সমাবেশে বিএনপিকে অনুমতি দিয়ে তাদের প্রতি সরকার নমনীয় হচ্ছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা কোন নমনীয়তার ব্যাপার না। এটি ব্যাপার হচ্ছে যে বিএনপি সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে। অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে কোন বাধা তো কখনও ছিল না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তারা অনুমতি নিয়ে তাদের এ যাবত এমন একটি জনসভা হয়নি, যেখানে কোন বিশৃঙ্খলা হয়নি।
তিনি বলেন, এই বিশৃঙ্খলা গুলোকে ভয় পাই বলেই আমরা এই বিষয়টা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্থ ছিলাম। আমরা অনুমতি সব সময় দিতে চাই। তারা একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, তাদের অবশ্যই সভা সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার কতটা গণতান্ত্রিক এই অনুমতি দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো।
২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি আসেনি বলে গণতন্ত্রের কি দোষ? তারা নির্বাচন বয়কট করলো। তারা ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বয়কট করে গণতন্ত্র নেই বলে তারা যে বিষোদগার করে সরকারের বিরুদ্ধে, তাদের মনে রাখা উচিত এই বাংলাদেশে গণতন্ত্র না থাকলে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের সাকসেসফুল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হত না।
সরকারের সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এই যে আইপিইউ এবং সিপিএ সম্মেলন বাংলাদেশে সফল অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এটিই প্রমাণিত হলো যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে। আছে বলেই বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশ বাংলাদেশকেই লোকেশন হিসেবে ঠিক করেছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিয়ে আসার জন্য বিএনপিকে আহ্বান জানানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে আহ্বান করলেও তারা নির্বাচনে আসবে, না করলেও নির্বাচনে আসবে। নির্বাচনে তারা আসবেই। তাদের নেতারাই বলেছে তারা নির্বাচনে আসবেন। কাজেই এখানে আহ্বানের তো কোন প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, আমরা চাই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটি নির্বাচন হোক। বিএনপি একটা বড় দল, তারা অংশ নিলে নির্বাচনটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। সেজন্য আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। তত্ত্বাবধায়ক তো পাগল আর শিশু ছাড়া আর কেউ বোঝে না এ কথা কি শেখ হাসিনার? এ কথা খালেদা জিয়ার। এখন কখনও সহায়ক, কখনও তত্ত্বাবধায়ক, আসলে তারা কি চায়, সেটাই আমরা জানতে চাই।
সংলাপের সম্ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সংলাপ কেন? সংলাপের দরকার তো নেই।
শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতিচারণ করে কাদের বলেন, নূর হোসেনের রক্ত গণতন্ত্রের বন্ধু। রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে দেশ মাতৃকার ঋণ শোধ করেছেন। নূর হোসেনের স্বপ্নে গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে। এখন আমাদের অঙ্গীকার হবে বহু রক্তমূল্যে অর্জিত এই গণতন্ত্রকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেব। এটাই আজকের দিনের অঙ্গীকার। ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ শ্লোগানকে বুকে-পিঠে লিখে তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করেছেন।
তিনি বলেন, শহীদ নূর হোসেন জীবন দিয়ে দেশ মাতৃকার ঋণ শোধ করেছেন। তার আত্মত্যাগের মাধ্যমে গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, একেএম এনামুল হক শামীম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন, এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।