পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পোপের প্রতি মিয়ানমারের কার্ডিনালের আহ্বান
মিয়ানমারের সর্বোচ্চ ক্যাথলিক নেতা ‘রোহিঙ্গা’ শব্দ ব্যবহার না করতে পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। চলতি মাসে পোপ ফ্রান্সিস মিয়ানমার সফর করবেন। সফরে তিনি মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনীর নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে কথা বলবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পোপ ফ্রান্সিস বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে ২৭ থেকে ৩০ নভেম্বর সফর করবেন। এরপর তিনি বাংলাদেশেও আসবেন। রাখাইনে সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। কোন পোপের এটিই হবে প্রথম মিয়ানমার সফর। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। মিয়ানমারের ক্যাথলিক নেতা কার্ডিনাল চার্লস মাউং বো বলেন, মুসলিম সংখ্যালঘুদের সহযোগিতা দেওয়ার গুরুত্বের কথা তুলে ধরবেন পোপ ফ্রান্সিস।
অতীতে রাখাইনের সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের দুর্দশার কথা তুলে ধরতে পোপ ফ্রান্সিস তাদের রোহিঙ্গা হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। তবে দেশটির নেত্রী সু চি বিদেশি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, রাখাইনের মুসলিমদের রোহিঙ্গা হিসেবে আখ্যায়িত না করার জন্য। সু চির মতে এতে করে উত্তেজনা ছড়াতে পারে।
চার্লস মাউংকে ২০১৫ সালে কার্ডিনাল হিসেবে নিয়োগ দেন পোপ। তিনিই মিয়ানমারের প্রথম ও একমাত্র কার্ডিনাল। তিনি বলেন, আমরা তাকে (পোপ) অনুরোধ করেছি অন্তত যেন রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করেন। কারণ এই শব্দটি সেনাবাহিনী, সরকার ও মিয়ানমারের জনগণ গ্রহণ করে না।
তবে পোপ ফ্রান্সিস কার্ডিনালের এই অনুরোধ রাখবেন কি না তা জানা যায়নি।
কার্ডিনাল জানান, রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে পোপ বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনায় জোর দেবেন।
তিনি বলেন, এরা হলো সেই মানুষ যাদের উভয় দেশেই নাগরিকত্ব নেই। তারাও মানুষ। তাদেরও মানুষের সম্মান প্রয়োজন। ফলে তাদের নিশ্চিহ্ন করা বা তাদের যে কাউকে হত্যা করা সমীচীন নয়।
পোপ ফ্রান্সিসের ইয়াঙ্গুনে সমাবেশে প্রায় ২ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারেন। কার্ডিনাল জানান, সব ধর্মের মানুষই সেখানে উপস্থিত হতে পারবেন। মিয়ানামারে প্রায় ৭ লাখ রোমান ক্যাথলিক রয়েছে। দেশটির মোট জনসংখ্যা ৫ কোটিরও বেশি। সূত্র : ইরাবতী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।