পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মুবাশ্বার হাসান সিজারের খোঁজ মেলেনি গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত। গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে তার সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ হয় পরিবারের। এরপর বন্ধ পাওয়া যায় সিজারের মোবাইল ফোন। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে তার পরিবার। খিলগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান গতকাল রাতে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে পুলিশ জিডির সূত্র ধরে তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এখনও তার অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তিনি জানান, তার নিখোঁজ হওয়ার কারণ সম্পর্কেও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। থানা পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও তাকে খুঁজছেন। এর আগে আগস্টের শেষভাগে এক সপ্তাহে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ চারজন এবং গত ১০ অক্টোবর সাংবাদিক উৎপল দাস নিখোঁজ হন। তাদেরও খোঁজ মেলেনি এখনও। সিজারের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন জিডিতে উল্লেখ করেছেন, ৩৫ বছর বয়সী সিজার গত মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে বারিধারায় তার কর্মস্থল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন, এরপর আর ফিরে আসেননি তিনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না তার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করা সিজার সাংবাদিকতা করতেন এক সময়। পরে তিনি যুক্তরাজ্যে মাস্টার্স ও অস্ট্রেলিয়ায় পিএইচডি করেন। বিশ্বায়ন, ইসলাম ও জঙ্গিবাদ বিষয়ে গবেষণা করেছেন। পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণ বনশ্রীর বাসায় থাকতেন তিনি। পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্নেষণে দেখা গেছে, গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছিলেন সিজার। পরে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত তার অবস্থান পাওয়া যায় আগারগাঁও এলাকায়। এর পর থেকে বন্ধ রয়েছে তার ফোনটি। সূত্র জানায়, সিজারের নিখোঁজ হওয়ার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এর আগে বিভিন্ন সময়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্রের জঙ্গি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তারাও রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছিলেন। এ কারণে সিজারের ক্ষেত্রেও সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অবশ্য সিজারের সহপাঠী ও সহকর্মীরা জানান, প্রগতিশীল মানসিকতার মানুষ তিনি। মতিঝিল জোনের ডিসি আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা তার বাসার সামনের গেটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, কললিস্ট, তার কর্মকান্ড সকল বিষয় নিয়ে তদন্ত করছি। তবে এখনও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সূত্র জানায়, নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুবাশ্বার হাসান সিজার। এ কারণে তিনি বাসায় সিসি ক্যামেরাও স্থাপন করেছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত তার সন্ধান নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।