Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশের পাশে আছে

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে ইনোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইন্দোনেশিয়ার বাংলাদেশস্থ রাষ্ট্রদূত রিনা পি চুমারানু বলেছেন, মিয়ানমারের আরাকান (রাখাইন) রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর জাতিগত নিষ্ঠুর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞে আজ বিশ্ব স¤প্রদায় বিস্মিত।
এ ধরনের বর্বর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বিপন্ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সরকার যে মানবতার পরিচয় দিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত নিতে মিয়ানমারকে আরো কঠোর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখার জন্য আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে তিনি আহŸান জানান।
গতকাল বুধবার দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও আশ্রয় শেল্টারের চলমান নির্মাণ কাজ পর্যবেক্ষণ কালে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
এর আগে বাংলাদেশস্থ রাষ্ট্রদূত রিনা পি চুমারনু রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সেবার সুবিধার্থে ইন্দোনেশিয়া ভিত্তিক এনজিও সংস্থা এসিটি পরিচালিত ফ্রি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকালে এসিটির ডাইরেক্টর মিঃ ভাং ভাং, আল্লামা ফয়েজ উল্লাহ ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ও ফরেন এপেরস সেক্রেটারী মোহাম্মদ ইদ্রিসসহ বাংলাদেশস্থ ইন্দোনেশিয়া দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া সরকার, ইন্দোনেশিয়া ভিত্তিক এনজিও সংস্থা এসিটি এবং আল্লামা ফয়েজ উল্লাহ ফাউন্ডেশন মিয়ানমার হতে আগত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। তন্মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, বিনামূলে চিকিৎসা, মসজিদ নির্মাণ, অনাথ শিশুদের সু-রক্ষাসহ রোহিঙ্গাদের জন্য কুতুপালং ডি-বøকে ১ হাজার পরিবারকে আশ্রয় দেয়ার জন্য আশ্রয় শেড নির্মাণ করছে।
৫২ রোহিঙ্গারা ভেলায় চড়ে বাংলাদেশে
মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, টেকনাফ থেকে : মিয়ানমার থেকে দলে দলে রোহিঙ্গারা ভেসে ও সাঁতারিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে একটি ভেলার সাহায্যে টেকনাফের নাফ নদী পাড়ি দিয়ে শাহপরীর দ্বীপ দিয়ে বাংলাদেশে ৫২ জন রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করেছে।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা ছৈয়দ হোছন জানায়, মিয়ানমার থেকে পালানোর জন্য নৌকা না পেয়ে গত চার দিন ধরে প্লাস্টিকের জারিকেন ও বাঁশ দিয়ে একটি ভেলা তৈরি করা হয়। পরে ওই ভেলায় ৫২ জনকে নিয়ে মিয়ানমারের মংডু শহরের দংখালি গ্রাম থেকে দিবাগত রাত ৩টার দিকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। বইঠা চালিয়ে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে সকাল ৮টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ায় পৌঁছান। পরে বিজিবির সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম ভেলায় ভেসে মিয়ানমার থেকে ৫২ জন রোহিঙ্গা শাহপরীরদ্বীপ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে ২২টি শিশু, ১৭ নারী ও ১৩ জন পুরুষ রয়েছে। তাদেরকে মানবিক সহায়তা দিয়ে এক জায়গায় জড়ো করে রাখা হয়েছে। তাদের সঙ্গে ইয়াবা, অস্ত্র ও অবৈধ পণ্য আছে কিনা তল্লাশি করে নির্ধারিত স্থান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হবে।
তিনি আরো বলেন, বিগত কয়েক দিন ধরে জারিকেনের সহযোগিতায় বেশ কিছু যুবক বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর মধ্যে ভেলা তৈরি করে অনুপ্রবেশ করার ঘটনাটি প্রথম। তাদেরকে উখিয়ার বালুখালিতে পাঠানো হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ