নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আসন্ন গোল্ডকোস্ট কমনওয়েলথ গেমসগামী জাতীয় দলের কোচ নিয়োগে স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশন। বৃহৎ এই আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসরকে সামনে রেখে গত ১ অক্টোবর ছয় অ্যাথলেটকে নিয়ে জাতীয় দলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করে ফেডারেশন। যেখানে প্রাথমিকভাবে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ফেডারেশনের বর্তমান অ্যাডহক কমিটির যুগ্ন-সম্পাদক ফরিদ খান চৌধুরী ও সাবেক অ্যাথলেট এবং ভারোত্তোলন ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সাবেক সদস্য খুরশিদা আক্তার খুশীকে। প্রায় মাসখানেক প্রশিক্ষণের পর ক’দিন আগে পুরুষ ও মহিলা বিভাগের ছয় জনের মধ্য থেকে দুই অ্যাথলেটকে বাদ দেয়া হয়। ফলে বর্তমানে চার অ্যাথলেট (দু’জন করে পুরুষ ও মহিলা) কে নিয়ে চলছে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স দলের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, এই ক্যাম্প চলাকালেই ফেডারেশন চুড়ান্তভাবে খুরশিদা আক্তার খুশিকেই গোল্ডকোস্টগামী দলের কোচ নিয়োগ দিয়ে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে (বিওএ) তালিকা পাঠায়। এ খবর চাউর হলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের অ্যাথলেটিক্স অঙ্গন। সাবেক তারকা অ্যাথলেট ও কোচ রাজিয়া সুলতানা অনু, শামিমা সাত্তার মিমু এবং সেনাবাহিনীর বর্তমান কোচ মাহবুবা ইকবাল বেলীকে পাশ কাটিয়ে খুশীকে আসন্ন কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশ দলের কোচ নিয়োগ দেয়ায় ক্ষুদ্ধ অনেকেই। তাদের বক্তব্য, ‘যারা দীর্ঘদিন ধরে অ্যাথলেটের সেবা করে আসছেন তাদেরকে অবমুল্যায়ন করে হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসা খুশীকে কোন যুক্তিতে কোচ হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে ফেডারেশন। এক্ষেত্রে কী স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নেয়া হয়নি?’ ফেডারেশনের বর্তমান অ্যাডহক কমিটিতে দু’জন যোগ্য নারী সদস্য থাকা সত্বেও গোল্ডকস্ট কমনওয়েলথ গেমসে কোচ হিসেবে কেন এমন একজনকে পাঠানো হচ্ছে, যার জাতীয় বা আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্সে উল্লেখ করার মতো কোন অবদান নেই। এ প্রশ্ন এখন দেশের অ্যাথলেটিক্সবোদ্ধাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।