নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম দুই ম্যাচে থারাঙ্গা-ফ্লেচারের জুটিতে ভর করেই দুর্দান্ত জয় পেয়েছিল সিলেট সিক্সার্স। তৃতীয় ম্যাচেও ঘুরে ফিরে সেই একই গল্প। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে এবার প্রথমে ব্যাট করে সিলেট জিতলো ৩৩ রানে। আসরে যা তাদের টানা তৃতীয় জয়। পক্ষান্তরে দুই পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিতে হলো রাজশাহীকে।
থারাঙ্গা-ফ্লেচারের একশোর্ধো রানের জুটির উপর ভর করে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে সিলেট। এবারের আসরে যা সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। বিশাল লক্ষ্যে লুক রাইট ও মুমিনুল হকে রাজশাহীর শুরুটা মন্দ ছিল না। দুই ওপেনার উদ্বোধনী জুটিতে ৫ ওভারে যোগ করেন ৫০ রান। কিন্তু লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট ও আবুল হাসানের জোড়া আঘাতে ভেঙে যায় ড্যারেন স্যামির দলের ব্যাটিং মেরুদন্ড।
নিজের প্রথম ও দলীয় ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে প্ল্যাঙ্কেট তুলে নেন মুমিনুল (১৬ বলে ২৪) ও রনি তালুকদারের উইকেট। দশম ওভারে মুশফিকুর রহিম (১২ বলে ১১) ও সামিত প্যাটেলকে ফেরান আবুল হাসান। পরে ড্যারেন স্যামির উইকেটটিও তুলে নিয়ে ম্যাচের সেরা বোলার বনে যান আবুল হাসান (৩/২২)। প্ল্যাঙ্কেটও নেন ২৯ রানে ৩ উইকেট। ৩৯ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৬ রান করা রাইটের মূল্যবান উইকেটটি নেন কামরুল হাসান রাব্বি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জেম্স ফ্রাঙ্কলিন (২৩ বলে ৩৫) আউট হন রান আউটে কাটা পড়ে। রাহশাহীর ইনিংসও থেমে যায় ৮ উইকেটে ১৭২ রানে।
এর আগে শিশির এড়ানোর জন্যে হয়তো টস জিতে বল বেছে নিয়েছিলেন রাজশাহী অধিনায়ক স্যামি। ১০ ওভারে ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ক্যারাবীয়ান তারকার সিদ্ধান্তকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেন ফ্লেচার-থারাঙ্গা জুটি। লাইন লেন্থের সঙ্গে যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত রাজশাহী এই জুটি বিচ্ছিন্ন করে ১১তম ওভারে এসে। এতে অবশ্য বোলারদের কোন কৃতিত্ব নেই। ৩০ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮ রান করে আন্দ্রে ফ্লেচার আউট হন রান আউটে কাটা পড়ে।
পরের ওভারে ফ্রাঙ্কলিনের বলে স্যামির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উপুল থারাঙ্গা। তার আগে তুলে নেন টানা তৃতীয় ফিফটি (৩৭ বলে ৫০)। তবে যে ভীত তারা গড়ে দেন তার উপর দাঁড়িয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৫ রান সংগ্রহ করে সিলেট। শেষ ৫ ওভারেই আসে ৭০ রান। ২২ বলে ২ বাউন্ডারি ও ৩ ওভারবাউন্ডারিতে ৪২ রান করেন আরেক লঙ্কান ব্যাটসম্যান দানুশকা গুনাথিলাকা। ১২ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন রস হুইটলি। এদিনও তেমন কিছুই করতে পারেননি সাব্বির রহমান। ফরহাদ রেজার ফুলটস বলে ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই লং অফে কেশরিক উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাব্বির। ৩৯ রানে ২ উইকেট নেয়া কেশরিক উইলিয়ামস হলেন রাজশাহীর সেরা বোলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।