পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য তৈরি হচ্ছে নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদী তীরবর্তী ভাসানচর। নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চরটিকে বসবাস উপযোগী করা হচ্ছে। গণহত্যার মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে না ফেরা পর্যন্ত এখানে রাখা হবে। প্রথম ধাপে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে অস্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের কথা রয়েছে।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের চিহ্নিতকরণ সংক্রান্ত বিভাগীয় কমিটির সভায় রোববার এসব তথ্য জানানো হয়। সভায় বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান সভাপতিত্ব করেন। নোয়াখালীর মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা চর ভাসানচর। সেখানে ২২ বর্গ কিলোমিটার মতো জায়গা রয়েছে। প্রায় ১৩ হাজার একর ভূমিকে ছয়টি মৌজায় ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হল ভাসানচর, সাদির চর, চর বাতায়ন, চর মোহনা, চর কাজলা আর কেউড়ার চর।
নতুন নামকরণের এ প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সভায় জানানো হয়, ভাসানচর বাস উপযোগী হওয়ার পর সেখানে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়া হবে। ইতোমধ্যে অবকাঠামো কাজ শুরু হয়েছে। নৌবাহিনীর পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। সভায় নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মাহবুবুল আলম তালুকদার ভাসানচর বাস উপযোগী করার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত নতুন করে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে কক্সবাজার সীমান্তবর্তী উখিয়া-টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার কারণে সেখানে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কিছু রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।