Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইনমন্ত্রী নিজেকে প্রধান বিচারপতি মনে করছেন কিনা প্রশ্ন রিজভীর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আইনমন্ত্রী নিজেকে চিফ জাস্টিস (প্রধান বিচারপতি) মনে করছেন কি না এমন প্রশ্ন তুলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধান বিচারপতিকে (সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) জোর করে ছুটিতে পাঠানোর ঘটনা থেকে এখন পর্যন্ত যা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে- তিনি (আইনমন্ত্রী) নিজেকে প্রধান বিচারপতি বা তার চাইতেও বড়ো কিছু ভাবছেন।
গতকাল (রোববার) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। রিজভী অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার গেজেট প্রকাশ নিয়ে জটিলতা নিরসনে আপিল বিভাগের বিচারকদের সঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বৈঠক নিয়েও প্রশ্ন তুলেন। দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা ওই গেজেট প্রকাশের জন্য সর্বোচ্চ আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে ২৯তম বারের সময় দেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রী আপিল বিভাগের সঙ্গে বসবেন বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এটা আমার (রিজভী) মনে হয় যে, মাননীয় অ্যাপিলেট ডিভিশন বিষয়টি সেভাবে দেখবেন। তাদের মর্যাদা, সর্বোচ্চ আদালতের মর্যাদা- সেটা সুরক্ষিত হোক। আইনমন্ত্রীর ভূমিকার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এসব বিষয়ে সরকারের পক্ষে একজন প্রধান আইন কর্মকর্তা আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল, তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় কাজ করবেন। কিন্তু অ্যাপিলেট ডিভিশনের সাথে আইনমন্ত্রী কথা বলবেন- এটা জনমনে একটা বড় প্রশ্ন তুলেবে। আইনমন্ত্রী যেভাবে নিজেকে তুলে ধরছেন অর্থাৎ সবার উপরে নির্বাহী বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের প্রধান। সেক্ষেত্রে তিনি (আইনমন্ত্রী) বেআইনি যে কাজগুলো করছেন তা দৃষ্টিকটু। তিনি নিজেকে ক্ষমতাশালী মনে করছেন, ক্ষমতাবান মনে করছেন অনেক- এটা ঠিক নয়।
আগামী ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফতেহা পাঠ করবেন। তিনি বলেন, এটা একটি জাতীয় দিবস। স্বাধীনতার ঘোষক ওই বিপ্লবের মহানায়কের মাজার। মাজার এলাকায় এমনিতেই সুশৃঙ্খল পরিবেশ থাকে, ভাবগম্ভীর পরিবেশ থাকে এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় সেখানে নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাদের নেতাকে। দিবসটি উপলক্ষে আগামী ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশ ও গণপুর্ত কতৃপক্ষকে ইতোমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহন করেছে। তবে জাতীয় সংসদ ভবনে চলমান কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সম্মেলনের ‘অজুহাত দিয়ে’ সরকার সেখানে যেতে না দিলে তা ‘গভীর নীল-নকশার অংশ, গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ’ প্রতীয়মান হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। রিজভী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। তারা সমাবেশের অনুমতি দেবে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা এ বি এম মোশাররফ হোসেন, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ ও মুনির হোসেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধান বিচারপতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ